কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশীদ জানান, শনিবার সকালে কলেজ লাইব্রেরি থেকে বের হওয়ার পথে অর্ণব ত্রিপুরাসহ তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কয়েকজন কর্মী মারধর করে। পরে ছাত্রলীগের কর্মীরা অর্ণবসহ অন্যদের উদ্ধার করতে গিয়ে পিসিপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় সংঘর্ষ পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিনিসহ চারজন আহত হন বলে ওসি জানান।
সংর্ঘষের সময় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ও কয়েকটি দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনার পর রবি ও সোমবার কলেজের সব ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে বলে অধ্যক্ষ বাঞ্চিতা চাকমা জানিয়েছেন।
পিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা বলেন, সকালে তাদের একটি সমাবেশে বাধা দেয় ছাত্রলীগ। পরে অন্য জায়গায় সমাবেশ করেন তারা।
“সমাবেশ শেষ হওয়ার পর ছাত্রলীগের কর্মী অর্ণব ও বহিরাগত শামসুজ্জামান বাপ্পী আমাদের কর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। আমরা এর প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগকর্মীরা হামলা চালায়।”
অন্যদিকে সংঘর্ষের জন্য পিসিপিকে দায়ী করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজে অতিরিক্তি পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন জানিয়েছেন।