বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশনে শিক্ষকরা। গতকাল পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়নি। শিক্ষকরা বলছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। এদিকে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করতে ১১ জন শিক্ষকর অসুস্থ হয়ে পড়েন। নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি এশারত আলী বলেন, সরকারের পক্ষে থেকে কোন আশ্বাস দেয়া হয়নি। বরং প্রশাসন থেকে নানা ধরনের হুমকি দেয়া হচ্ছে এখান থেকে উঠে যাওয়ার জন্য। তবে সরকারের উচ্চ মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে-এটা একটা ভাল দিক। আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। গত শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে অনশন শুরু হয়। ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার কুণ্ডু জানান, তৃতীয় দিনের অনশনে ১১ জন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের সবাই শরীরে স্যালাইন লাগানো হয়েছে। একজনকে প্রথমে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে আশ্বাস ও সুস্পষ্ট বক্তব্য অসালেই আমাদের কর্মসূচি শেষ করবো। উল্লেখ্য, দেশের ৮ হাজারের বেশি স্বীকৃতি পাওয়া স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত (মাসিক বেতন আদেশের আওতায়) নন এমন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী বিনা বেতনে চাকরি করছেন। এই সব প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে সোম-মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও বুধ-বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন শিক্ষকরা। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন শুরু হয়।