ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপ পর্বে একই রাতে ভিন্ন চেহারা দেখলো ম্যানচেস্টার সিটি ও জুভেন্টাস। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ শেষে ইতালির চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসের ৭ ও ইংলিশ ক্লাব ম্যানসিটির পয়েন্ট ছিল ৬। মঙ্গলবার রাতে জার্মানির ক্লাব বরুসিয়া মুনশেনগ্লাবাখের মাঠে জুভেন্টাস আর স্পেনের ক্লাব সেভিয়ার মাঠে সফর করে ম্যানসিটি। জুভেন্টাস জিতলে ম্যানসিটির আগেই তারা শেষ ষোলো নিশ্চত করতো। কিন্তু হলো উল্টো ঘটনা। জুভেন্টাসকে স্বাগতিকরা ১-১ গোলে রুখে দিলেও ৩-১ গোলের বড় জয় নিয়ে ফিরেছে ম্যানসিটি। এতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে টানা সাফল্য দেখালেন ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি। এই নিয়ে টানা পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ খেলছে ম্যানচেস্টারের এ দলটি। কিন্তু সাবেক কোচ বরার্তো মানচিনির অধীনের ম্যানসিটি টানা দুইবার দলকে শেষ ষোলোয় তুলতে ব্যর্থ হন। কিন্তু গত দুই মওসুম সিটির দলটিকে শেষ ষোলোয় তোলেন ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি। আর এবার টানা তৃতীয়বারের মতো তার দলকে নক আউট পর্বে তুললেন। তবে আগের দুই বারের চেয়ে এবার দ্রুততম সময়ে দলের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছেন তিনি। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ হাতে রেখেই এবার ম্যানসিটি এই যোগ্যতা অর্জন করেছে। সেভিয়ার মাঠে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ম্যানসিটি। বিশেষকরে ফরোয়ার্ডরা। প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যেই তারা প্রতিপক্ষের গোলমুখে ৬ বার অন টার্গেটে শট নেয়। এরমধ্যে দু’টি গোল হয়। ১১ মিনিটের মধ্যেই সরকারীরা ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। ৮ মিনিটের মাথায় দুরূহ কোণ থেকে গোল করে ম্যানসিটিকে এগিয়ে তেন তরুণ স্ট্রাইকার রহিম স্টার্লিং। এর ঠিক ১৭০ সেকেন্ডের মাথায় ১১ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে সফরকারীদের ব্যবধান বাড়ান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফারনানদিনহো। অবশ্য ২৫ মিনিটে স্বাগতিক সেভিয়ার ব্যবধান কমান ট্রিমোলিনাস। কিন্তু ৩৬ মিনিটে উইলফ্রেড বনি ম্যানসিটিকে আরও বড় ব্যবধানে এগিয়ে দেন। ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ম্যানসিটি। তখনই অনেকটা জয় নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের। আর দ্বিতীয়ার্ধে দুই দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করলেও কেউ গোলের দেখা পায় নি। চলমি মওসুমে লিভারপুল থেকে ম্যানসিটিতে যোগ দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ১০ ম্যাচে ৪ গোল করলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে গোল ছিল না রাহিম স্টার্লিংের। কিন্তু এদিন তিনি ইউরোপ-সেরা এ আসরে ম্যানসিটির হয়ে প্রথম গোল করলেন।