কলকাতা থেকে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে পণ্যবাহী একটি মিনি ট্রাক মঙ্গলবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা পৌঁছেছে। সেখান থেকে ট্রাকটির যাওয়ার কথা গোয়াহাটি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আইএএনএস। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) নামের উপ-আঞ্চলিক উদ্যোগে এ অঞ্চলে পণ্যবাহী কার্গো চলাচলের জন্য পরীক্ষামুলকভাবে ওই মিনি ট্রাকটি ১লা নভেম্বর কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় ‘নবান্ন’ থেকে এর উদ্বোধন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় পরিবহন সচিব বিজয় চিব্বার। ট্রাকটির সঙ্গে রয়েছেন কাস্টমসের একজন সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট। কলকাতায় এ পরিবহন সেবার উদ্বোধন করে বিজয় চিব্বার বলেন, যখন বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্য দিয়ে এ কার্গো চলাচল নিয়মিতভাবে শুরু হবে তখন এ উপ-আঞ্চলিক উদ্যোগের ব্যাপক সুবিধা পাবে জনগণ। বিবিআইএন মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্টের লক্ষ্যই হলো নির্দিষ্ট করিডোরের ভিতর দিয়ে প্রতিটি দেশ তাদের পণ্য পরিবহন করতে পারবে, এমনটা নিশ্চিত করা। এই কার্গো চলাচলের ফলে কলকাতা থেকে আগরতলার দূরত্ব ১৫৫০ কিলোমিটার থেকে কমে দাঁড়াবে ৬৪০ কিলোমিটার। বিবিআইএন মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট এ বছরের জুনে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে। এর খসড়া প্রটোকল ঢাকায় চূড়ান্ত করা হয় ৮ থেকে ৯ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে। ধারণা করা হচ্ছে চারটি দেশের সরকারি কর্মকর্তারা এ চুক্তিটি পশ্চিবঙ্গের শিলিগুড়িতে শিগগিরই একটি সম্মেলনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষর করবেন। বিবিআইএনের সচিবালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে দ্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রেল, সড়ক নেটওয়ার্ক, পানিপথ ও বন্দর সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছে ভারত। এর মাধ্যমে কলকাতা থেকে ভারত তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন সহজ করতে চায়। এরই মধ্যে ভারতের ফুড করপোরেশন বাংলাদেশের পানিপথ ও সড়কপথ ব্যবহার করে ত্রিপুরার বিভিন্ন অংশে ৩৫ হাজার টনেরও বেশি চাল সরবরাহ করেছে। ২০১২ সালের শুরুর দিকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ওয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশনকে ভারি যন্ত্রপাতি, টার্বাইন, বিশাল আকারের কার্গো আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরায় নেয়ার অনুমতি দেয় বাংলাদেশ। ত্রিপুরার পালটানায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৭২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুত কেন্দ্র। ওইসব সরঞ্জাম সেখানে নিয়েছে ভারত। তাই আশুগঞ্জ বন্দর, অবকাঠামো নির্মাণে ভারত সরকার খরচ করেছে বহু কোটি রুপি।