ইমরান খান ও রেহাম খানের বিচ্ছেদ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। কী কারণে হঠাৎ করেই তাদের বিচ্ছেন হয়ে গেল তা নিয়ে নানা প্রশ্ন। একেক সূত্রে জানা যাচ্ছে একেক কারণ। তবে একটি ব্রিটিশ পত্রিকার দাবি, ইমরান খানের পোষা কুকুর নিয়ে মতনৈক্যের কারণে তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়েছে। এছাড়া রেহাম খানের আগের পক্ষের সন্তানদের বেশি গুরুত্ব ও পরিবারের ওপর কর্তৃত্ব খাটানোর মানসিকতাও বিচ্ছেদের বড় কারণ। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান ও রেহাম দু’জনই আকষ্মিক বিবাহ-বিচ্ছেদের পর বলেছিলেন, দুই পক্ষের সম্মতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ব্রিটশ ওই পত্রিকাটি দাবি করলো, আকষ্মিকভাবেই রেহামকে তালাক দেন ইমরান। পত্রিকাটি জানিয়েছে, প্রথমে মোবাইলে তিনবার ‘তালাক’ শব্দ রিখে রেহামকে ম্যাসেজ করেন ইমরান খান। পরে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত ই-মেইল করেন তিনি। রেহাম তখন বিমানে ছিলেন। ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামে যাচ্ছিলেন। বার্মিংহ্যামে নেমেই তিনি সেই বার্তা পান। ব্রিটিশ পত্রিকার দাবি, ওই বার্তা পেয়ে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন রেহাম। ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে সেখানে যোগাযোগ করেন। সেখানেই ইমরানের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু রেহামের খোরপোশের ব্যাপারটি সামাধান করেন। ইমরানের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, বিয়ের পরেই পাহাড়ের ওপর অবস্থিত ইমরানের বাড়ির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় রেহামের হাতে। তাকে নাকি ইমরান বলেছিলেন, ‘বাড়িতে কোনও নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই।’ বিয়ের পর প্রথমেই ইমরানের পোষা কুকুরগুলোকে উপেক্ষা করতে থাকেন রেহাম। ইমরান কুকুরগুলো আগে নিজের ঘরেই রাখতেন। কিন্তু রেহাম শোবার ঘরে কুকুরগুলোকে ঢুকতে দিতেন না। এমন কি দিনের বেলায়ও রুমে কুকুর ঢুকতে দিতেন না। কুকুরগুলোকে আলাদা ঘরে রাখার ব্যবস্থা করেন রেহাম। ইমরান বার কয়েক তাকে কুকুরগুলোকে নিজেদের ঘরে রাখার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এছাড়া রেহামের আগের পক্ষের তিন সন্তানের জন্য বাড়ির অনেক ব্যবস্থা পাল্টে ফেলতে হয়। রেহামের পরিবরের সদস্যরা ওই বাড়িতে ইচ্ছা মতো আসতেন-যেতেন। এছাড়া ইমরানের আত্মীয়দের সঙ্গে রেহামের ঠা-া সম্পর্কও বিবাহ-বিচ্ছেদের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।