তৈলাক্ত ত্বক অন্য ত্বকের থেকে ভিন্ন। তাই এই ত্বকের প্রয়োজন পড়ে একটু বাড়তি যত্নের। অন্য সব ত্বকের যত্নে যে প্যাক ব্যবহার করা হয়, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সেই প্যাক উপযোগী নাও হতে পারে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের ব্যবহার করতে হবে ভিন্ন কিছু ফেইস প্যাক, যা তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ত্বকের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা রোধ করে।
১। মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক
মুলতানি মাটি
গোলাপ জল
লেবুর রস
মুলতানি মাটি, কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল এবং অল্প একটু লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। গোলাপ জল ত্বক ময়শ্চারাইজ করে এবং লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে থাকে।
২। বেসন, হলুদ, লেবুর রস এবং দুধের ফেইস প্যাক
২ টেবিল চামচ বেসন
৫ ফোঁটা লেবুর রস
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
২-৩ টেবিল চামচ দুধ
পানি বা গোলাপ জল (প্রয়োজন পড়লে)
বেসন, হলুদ গুঁড়ো, লেবুর রস এবং দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। প্রয়োজন হলে এতে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মুখে ভাল করে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বকের এক্সফলিয়েট করে থাকে।
৩। টমেটো এবং লেবুর রস
২ টেবিল চামচ টমেটোর রস
কয়েক ফোঁটা লেবুর রস
টমেটো রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক স্কিন টোন ধরে রেখে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।
৪। লেবুর রস এবং মধুর ফেইস প্যাক
লেবুর রস
গোলাপ জল
মধু
লেবুর রসের সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে মধু লাগান। কিছুক্ষণ পর মধু ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রসে ক্রিটিক অ্যাসিড আছে যা ব্রণ দূর করে থাকে। আর মধু ত্বক ময়োশ্চারাইজ করে।
৫। নিম ফেইস প্যাক
৪টি নিম পাতা
১ চা চামচ গোলাপ জল বা লেবুর রস
নিম পাতা কুচি করে বা সিদ্ধ করে বেটে নিন। এবার এর সাথে গোলাপ জল বা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। আপনার ত্বকে এই প্যাকটি ভাল করে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দূর করতে নিম অনেক কার্যকরী। এর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণ দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে থাকে।
তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার রাখাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরণের ত্বকের লোমকূপে দ্রুত ময়লা জমে যায়। তাই নিয়মিত দুই বার ফেইস ওয়াস দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত।