চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ২৮ সদস্যকে হত্যা করেছে পুলিশ। রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে এনবিসি। খবরে বলা হয়েছে, বিয়াচেং কয়লা খনিতে ১৮ই সেপ্টেম্বর হামলার জন্য দায়ী ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’র বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে এসব হামলায় ১১ বেসামরিক নাগরিক, ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও ২ প্যারা-পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ১৮ জন। প্রায় ৫৬ দিন ধরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটিকে অনুসরণ করে আসছে নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে ২৮ জন নিহত ও ১ জন আত্মসমর্পণ করেছে। সিনহুয়ার ওই প্রতিবেদনে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়নি। তবে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো কয়লা খনিতে হামলার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নেয়া হলো। ওই হামলায় প্রায় ৫০ জন মানুষ নিহত হয়েছে। শিনজিয়াং ডেইলি পৃথক এক খবরে জানিয়েছে, কয়লা খনিতে হামলার পর হামলাকারীরা পর্বতে পালিয়ে গেছে। তাদের ধরতে প্রায় ১০ হাজার লোক কাজ করছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেছে, ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি ‘বিদেশী চরমপন্থী একটি সংগঠনে’র অধীনস্থ হয়ে হামলাটি চালিয়েছে। ওই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে যে দুই বিদেশীর নাম উঠে এসেছে তারা উইঘুর সম্প্রদায়ের। প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের আবাসস্থল শিনজিয়াং। অনেক উইঘুর শিনজিয়াং-কে পূর্ব তুর্কেস্তান বলে প্রচারণা চালায়। সেখানকার স্বাধীনতাও চায় তারা। মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, উইঘুর সমপ্রদায়ের মৌলিক অনেক অধিকার লঙ্ঘন করে আসছে চীন। অপরদিকে চীনা কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসী হামলার জন্য সবসময় উইঘুর সম্প্রদায়কে দায়ী করে।
কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছেন, উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হুমকির বিষয়টি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ শিনজিয়াং নিয়ন্ত্রণে রাখছে চীন। তবে দেশটির দাবি, উইঘুর গোষ্ঠী বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকি। মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে অনেক উইঘুর লড়াই করছে বলেও দাবি চীনের।