‘বল তুই আমায় ছেড়ে কোথায় যাবি’-এর মত জনপ্রিয় গান দিয়ে সংগীত জগতে পরিচিতি অর্জন করেন চলতি সময়ের আলোচিত শিল্পী ও সংগীত পরিচালক জুয়েল মোর্শেদ। এরপর বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। শুধু গেয়ে নয়, গাইয়েও সফল জুয়েল। তবে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিলো একজন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। সেরা সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন তিনি। এখন স্টেজ শো, অ্যালবাম নিয়ে বেশ ব্যস্ত। পাশাপাশি কাইনেটিক মিউজিকের এ এন আর ম্যানেজার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। নিজের বর্তমান ব্যস্ততা ও গানের নানা বিষয় নিয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন জুয়েল মোর্শেদ। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ফয়সাল রাব্বিকীন
কেমন আছেন? দিনকাল কেমন যাচ্ছে?
অনেক ভালো আছি। দিনকালও ভালোই যাচ্ছে। তবে প্রতিদনই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?
গান নিয়েই সব ব্যস্ততা। বেশ কিছু নতুন গানের কাজ করছি এখন। পাশাপাশি ক’জন শিল্পীর অ্যালবামের জন্যও গান তৈরি করছি। কনা, পূজা, শৈলি ও নাওমির জন্য একটি করে গান তৈরি করছি। পড়শির পরবর্তী এককের জন্যও একটি গান করছি। আর স্টেজের ব্যস্ততাও রয়েছে মোটামুটি। সব মিলিয়ে গানের মাঝেই রয়েছি।
নতুন একক অ্যালবাম কি করছেন?
চলতি বছরই আমার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘কি উপায়’ প্রকাশ পেয়েছে সিডি চয়েজের ব্যানারে। গানগুলোর প্রশংসা পাচ্ছি অনেক। কিছুদিন আগেই এর টাইটেল গানটির ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। বেশ ভিন্নধর্মী আয়োজনে করা এ ভিডিওটি দর্শকরা খুব পছন্দ করেছেন। এ অ্যালবামটিকে আমি আরও সময় দিতে চাই। নতুন বছরে নতুন অ্যালবামের কাজ শুরু করবো বলে ঠিক করেছি।
আপনার মিউজিক ভিডিওগুলো বেশ ভিন্নধর্মী হয়ে থাকে। এই কনসেপ্টগুলো মাথায় কিভাবে আসে? এর পেছনের রহস্যটা বলবেন ?
কোনই রহস্য নেই এখানে। যে গানে যে রকম ভিডিও দরকার সেরকম করারই চেষ্টা করি। হ্যা, তবে ভিন্নতা আনার চেষ্টাটা থাকে। কারণ গান এখন দেখারও একটি বিষয়। মধ্যে গতানুগতিক মিউজিক ভিডিওর একটি জোয়ার ছিলো। সেই জোয়ারে গা ভাসাতে চাইনি। এ কারণেই একটি গানের মিউজিক ভিডিও নিয়ে শুরু থেকেই পরিকল্পনা থাকে। যেমন ‘বল তুই আমায় ছেড়ে’ গানটি একটি ভালোবাসার আবেগী গান। এখানে মডেল ব্যবহার করে একটি ছোট গল্পের মধ্যে ভিডিওটি নির্মাণ করা হয়েছে। আবার ‘কি উপায়’-এর ভিডিও কমেডি ধাঁচের। এখানে আমি সুপারম্যান হিসেবে পারফরম করেছি। আর এরকম ভিন্নতার কারণেই কিন্তু দর্শকরা এসব ভিডিওগুলো পছন্দ করেছে। সামনেও এরকম ভিন্নধর্মী কাজ করতে চাই।
মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন কেমন মনে হচ্ছে?
আমি সব সময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করি। স্বপ্ন দেখতে খুব ভালোবাসি। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি এখন স্থিতিশীল নেই, তবে আমার মনে হয় এর অবস্থা সামনে ভালো হবে। কারণ কনটেন্টের মাধ্যমে আয়ের বেশ কিছু উৎস তৈরি হয়েছে। সিডির বাইরেও ওয়েলকাম টিউন, রিংটোন, ওয়ালপেপার ও ইউটিউব থেকে এখন আয় আসছে। গান থেকে আয়ের উৎস সামনে আরও বাড়বে। আমি মনে করি ২০১৬ তে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে বড় একটি বিপ্লব ঘটবে। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো ঢুকবে ইন্ডাস্ট্রিতে। কনসার্টও বাড়বে। ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন আরও শক্তিশালি হবে। মোবাইল স্ট্রিমিংটাও জনপ্রিয় হবে। ইন্ডাস্ট্রির অবস্থাও ভালোর দিকে যাবে।
পারিবারিক সাপোর্টটা কেমন পেয়েছেন সংগীতের ক্ষেত্রে?
শুরু থেকেই অনেক ভালো। বাবা-মা সবাই আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। আমার স্ত্রী লাভলী আমাকে সব সময় এখন সহযোগিতা করে। আমার সংগীত ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় উৎসাহ সে।