ব্যান্ড তারকা বিপ্লব। প্রমিথিউস ব্যান্ডের হয়ে অনেক জনপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। ব্যান্ডের বাইরে একক ক্যারিয়ারেও সফল। ধারাবাহিকভাবে শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন একক অ্যালবামের মাধ্যমেও। পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও গেয়েছেন এবং অভিনয় করেছেন। চলতি বছর তার অভিনীত প্রথম ছবি ‘গেইম’ মুক্তি পায়। বর্তমানে ব্যান্ড প্রমিথিউস নিয়ে স্টেজ শো-এ ব্যস্ত সময় পার করছেন এ তারকা। বর্তমান ব্যস্ততা ও সংগীতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন বিপ্লব। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ফয়সাল রাব্বিকীন
কেমন আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। ভালোভাবেই কাটছে দিনকাল।
ব্যস্ততা কি নিয়ে?
এখন শীত মৌসুম চলছে। তাই মূল ব্যস্ততা স্টেজ শো নিয়ে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শো করছি। অনেক ভালো সাড়া মিলছে। শো এর কারণে নিয়মিত প্র্যাকটিসেও রয়েছে প্রমিথিউস। এই শো এর ব্যস্ততা চলবে কমপক্ষে জানুয়ারি পর্যন্ত।
কদিন আগেইতো আমেরিকা থেকে ফিরলেন?
সব সময় তো শো করতেই আমেরিকা যাওয়া হয়। তবে এবার পারিবারিক সফর ছিলো। ঘুুরতে গিয়েছিলাম সবাই মিলে। দুই মাসের মতো ছিলাম সেখানে। অন্যরকম একটি সময় কাটিয়েছি। সেখান থেকে ফিরে দেখি অনেক কাজ জমা হয়ে গেছে। এখন সেগুলো গুছাচ্ছি।
প্রমিথিউসের নতুন অ্যালবামের কি খবর?
নতুন অ্যালবামের পরিকল্পনা চলছে। এখন পর্যন্ত ১৮ টি অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে আমাদের। ১৯তম অ্যালবামটি অন্যরকম আয়োজনে করতে চাই আমরা। সব ধরনের গানই থাকবে এতে। আশা করছি ভালো কিছু হবে।
আপনার দৃষ্টিতে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন কেমন?
আমি মনে করি ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন ভালো। তবে আমরা একদিকে বলছি সংগীত একটি শিল্প, অপরদিকে বলছি যে, সংগীত ব্যবসার কোন বিষয় নয়। দুটি কিন্তু বিপরীতমুখী কথা। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ সংগীত বিনোদনের মাধ্যম সেটা ঠিক আছে। কিন্তু এটা যে একটি ব্যবসাও সেটা স্বীকার করার মানসিকতা থাকতে হবে। হাত তালি পাওয়ার জন্য বক্তব্য দিলে হবে না। কথায় ও কাজে মিল থাকতে হবে। আমি মনে করি এখন আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো পলিসি মেকিংয়ে। বাকি সব ঠিক আছে। কিভাবে কি হবে সেই বিষয়ে সবার এক হতে হবে। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে এখন কোন নিয়ম নীতি নেই। যে যা খুশি তাই করছে। আমি মনে করি পলিসি মেকিং হলে আমাদের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
আপনার দৃষ্টিতে তরুণরা এখন কেমন করছে সংগীতে?
তরুণরা অনেক ভালো করছে। সামনে আরও ভালো করবে। আমি আমেরিকা সফরে গিয়ে এবার বিভিন্ন ক্লাবে স্থানীয় ব্যান্ডগুলোর বাজানো দেখেছি। আমার মনে হয়েছে তাদের থেকে আমাদের দেশের তরুণরা বেশি ভালো বাজায়। তারা উন্নত দেশ হতে পারে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু মেধার দিক দিয়ে আমরা কোন অংশে কম নেই। বরং আমরা কিছু ক্ষেত্রে তাদের থেকে এগিয়ে আছি।
চলতি বছর আপনার অভিনীত প্রথম ছবি ‘গেইম’ মুক্তি পেয়েছে। সামনে কি অভিনয়ে দেখা যাবে?
‘গেইম’ যারা দেখেছে তারা সবাই প্রশংসা করেছে। তবে ছবির মার্কেটিংটা দূর্বল ছিলো। সামনে অভিনয় করার ইচ্ছে আছে। অবশ্য সব কিছু মনের মত হলেই কেবল অভিনয় করবো।
সংগীতে আপনার পারিবারিক সাপোর্টটা কেমন?
ভালো। আমার স্ত্রী-সন্তান সব সময় আমার সব কাজে সহযোগিতা করে, উৎসাহ যোগায়।