টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫০তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ইজতেমা। ইজতেমার প্রথম দিনেই তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি জড়ো হয়েছেন ইজতেমা ময়দানে। প্রথমপর্বের এ আয়োজনে দেশের নির্ধারিত ১৭টি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেবেন। এ জন্য ইজতেমা ময়দানের ১শ ৬০ একর জমির উপর নির্মিত সুবিশাল প্যান্ডেলের খুঁটিতে নম্বরপ্লেট, খিত্তা নম্বর বসানো হয়েছে। ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের জন্য খোলা রাখা হয়েছে ১৮টি পথ। এ ছাড়া তুরাগ নদে ৮টি ভাসমান সেতুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। আগামী ১০ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব। চার দিন বিরতি দিয়ে দুই পর্বের এই ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি। ১৭ জানুয়ারি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০১৬ সালের বিশ্ব ইজতেমা। ১৯৬৬ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বলতে গেলে নিয়মিতই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মুসল্লিদের চাপ কমাতে ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমাকে দুই পর্বে বিভক্ত করা হলে ওই বছরই প্রথম দুই দফায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী বছরগুলোতে এ ধারায় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ বছর প্রথম ধাপে যেসব জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন এবার ইজতেমায় প্রথম ধাপে অংশ নেয়া জেলা ও তাদের খিত্তা নম্বর হলো- ঢাকা ১ থেকে ৬নং খিত্তা, শেরপুর ৭, নারায়ণগঞ্জ ৮ ও ১১, নীলফামারী ৯, সিরাজগঞ্জ ১০, নাটোর ১২, গাইবান্ধা ১৩, লক্ষ্মীপুর ১৪ ও ১৫, সিলেট ১৬ ও ১৭, চট্টগ্রাম ১৮ ও ১৯, নড়াইল ২০, মাদারীপুর ২১, ভোলা ২২ ও ২৩, মাগুরা ২৪, পটুয়াখালী ২৫, ঝালকাঠি ২৬ এবং পঞ্চগড় খিত্তা ২৭। দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেবেন আরো ১৬ জেলার মুসল্লিরা জেলা ও খিত্তাগুলো হলো- ঢাকা খিত্তা ১ থেকে ৭, ঝিনাইদহ ৮, জামালপুর ৯ ও ১১, ফরিদপুর ১০, নেত্রকোনা ১২ ও ১৩, নরসিংদী ১৪ ও ১৫, কুমিল্লা ১৬ ও ১৮, কুড়িগ্রাম ১৭, রাজশাহী ১৯ ও ২০, ফেনী ২১, ঠাকুরগাঁও ২২, সুনামগঞ্জ ২৩, বগুড়া ২৪ ও ২৫, খুলনা ২৬ ও ২৭, চুয়াডাঙ্গা ২৮ এবং পিরোজপুর খিত্তা ২৯।