২০ দলীয় জোট ভাঙার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। তিনি বলেছেন, দেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন দলকে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সরানোর চেষ্টা চলছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ফেলানী ও আমাদের গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। হাফিজ উদ্দিন বলেন, জোট ভাঙার এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। আমরা অপেক্ষায় আছি, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামার। সরকারের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, সরকার জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে না। গণতন্ত্র নির্বাসনে, আইনের শাসন নেই। মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। সে কারণে ফেলানীরা লাশ হয়। কেবল মাত্র ব্যক্তি-গোষ্ঠী স্বার্থে আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে নতজানু হয়ে আছি। ভারত আমাদের বন্ধ, তার অর্থ এই নয় আমরা যুগ যুগ ধরে দিয়েই যাবো। গিভ অ্যান্ড টেক তো থাকতে হবে। তরুণদের উদ্দেশে মেজর হাফিজ বলেন, অনেকেই অপেক্ষায় আছে আওয়ামী লীগের সুমতি হয় কিনা। আওয়ামী লীগের সুমতি হবে না। তরুণদের কাছে বিনীত নিবেদন, আমরা সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করবো। রাজপথে নামতে হবে। বাস্তব পরিবেশ উপলব্ধি করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা এই একনায়কতন্ত্রের অবসান হবে না। এর আগে দেশের যত সহিংসতা হয়ে সবই আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সারা দেশের সহিংসতা করে বিএনপির উপর দোষ চাপানো হয়েছে। গত ৫ই জানুয়ারির সমাবেশ প্রমাণ করে এসব সহিংসতা সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। গত ৫ই জানুয়ারির নয়াপল্টনের সমাবেশে তো কোন সহিংসতা হয়নি। খালেদা জিয়ার সংলাপের আহ্বানে সাড়া দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, যে দেশে গণতন্ত্র নেই, সেদেশে জঙ্গিবাদ জেগে উঠে। কথা বলার, আলাপ-আলোচনার পথ রুদ্ধ হলে বিএনপির মতো গণতন্ত্রকামি দলগুলো পেছনে সরে যাবে। জনগণ হতাশ হবে। তখন শক্তির দ্বারা যাদের উদ্ভব, তারা সামনে আসবে। অল কমিউনিটি ফোরামের উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামছুজ্জামান দুদু, সাবেক এমপি সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ফেলানীর হত্যার প্রতিবাদ জানাতে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়ক ফেলানীর নামে নামকরণ করার দাবি জানান বক্তারা।