সরকারি ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ভিড় থাকলেও সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সকাল থেকে মেলায় দর্শনার্থীদের আগমন অনেকটা কম ছিল। রোববার সকালে মেলার প্রবেশমুখের বেশির ভাগ টিকিট কাউন্টার ফাঁকা থাকতে দেখা গেছে। স্টলে স্টলে দর্শনার্থীদের কোনো ভিড় চোখে পড়েনি। মেলায় অংশ নেয়া বিভিন্ন স্টলের প্রতিনিধিরা জানান, গত দুদিন সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের আগমন ছিল বেশি। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের সকালে দর্শনার্থীদের আগমন কিছুটা কম। তবে দুপুর ও সন্ধ্যার পর দর্শনার্থীদের আগমন বাড়বে বলে তাদের প্রত্যাশা। গত ১লা জানুয়ারি থেকে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে মাসব্যাপী ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে। ওই দিন বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এ মেলার আয়োজন করে। আগামী ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। গতবারের মতো এবারও মেলায় প্রবেশ মূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জনপ্রতি ৩০ টাকা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৩ লাখ ৭৩ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে মেলার মাঠে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল ও প্যাভিলিয়ন বসানো হয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ছোট-বড় মিলে এবারের মেলায় ১৬৮টি প্যাভিলিয়ন ও বিভিন্ন সাইজের ৩৮৭টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি ফুড স্টল ও ৫টি বড় সাইজের রেস্টুরেন্ট। এসবের মধ্যে ৬০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ১০টি জেনারেল প্যাভিলিয়ন, ৩টি রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন, ৩৮টি ফরেন প্যাভিলিয়ন, ৩৬টি প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৩টি জেনারেল মিনি প্যাভিলিয়ন, ৬টি রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন, ২টি ফরেন মিনি প্যাভিলিয়ন, ৬৪টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৬টি ফরেন প্রিমিয়ার স্টল, ২৭৫টি জেনারেল স্টল, ২৫টি ফুড স্টল ও ৫টি রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া মেলায় একটি ই-শপ, একটি শিশু পার্ক, সুন্দরবনের আদলে একটি ইকোপার্ক, একটি ই-পার্ক, দুটি রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্র, দুটি মা ও শিশু কেন্দ্র, একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, ১৪টি স্পটে গার্ডেন, ১৩টি স্পটে ৫২টি টয়লেট, ৩টি স্পটে ৭৭০টি গাড়ি রাখার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, মুসলিমদের মেলায় নামাজ পড়ার জন্য একটি মসজিদ ও আনসার এবং বেসরকারি সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যদের জন্য দুটি ডরমিটরি স্থাপন করা হয়েছে। মেলার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র্যাব, আনসার ও বেসরকারি সিকিউরিটি ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে। আগত দর্শনার্থীদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ আসলে তা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সার্বক্ষণিক মেলা প্রাঙ্গণে ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া মেলা প্রাঙ্গণের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, গেট, পার্কিং এরিয়া, ও চারপাশে ১০০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা মেট্র্রোপলিটন পুলিশ এসব ক্যামেরা মনিটরিং করছে। এবার ৫টি মহাদেশ থেকে বাংলাদেশসহ ২২টি দেশ মেলায় অংশ নিয়েছে।