মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যুর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সকালে ওই ছত্রের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েকশ মাদ্রাসা ছাত্র শহরের টিএ রোড, কুমারশীলের মোড়, লোকনাথ ট্যাংকের পাড়সহ কয়েকটি স্থানে রাস্তা আটকে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এ সময় তারা সড়কের উপর কয়েকটি তোরণও ভাঙচুর করে। পুরো শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে সকাল ৮টার দিকে শহরে বিজিবি মোতায়েন করে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে মাদ্রাসাছাত্র নিহতের ঘটনায় আগামীকাল বুধবার সারা দেশে হরতালের ডাক দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার (বড় মাদ্রাসা) জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পক্ষে মাওলানা মোবারক উল্লাহ এ হরতালের ঘোষণা দেন। মাদ্রাসাছাত্র নিহত ও মাদ্রাসায় হামলার প্রতিবাদ, সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তাপস রঞ্জন বোস, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকূল চন্দ্র বিশ্বাসের অপসারণ ও নিহত মাদ্রাসাছাত্রের নিহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে এ হরতাল ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান মাওলানা মোবারক। এর আগে গতাকাল রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মাদ্রাসাছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হাফেজ মাসুদুর রহমান সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মাসুদুরের গ্রামের বাড়ি নবীনগর উপজেলার সামন্তঘর গ্রামে। তার লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশের গুলিতে মাসুদুর মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমের মালিক রনির সঙ্গে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার (বড় মাদ্রাসা) এক ছাত্রের বাকবিত-া হয়। এর জের ধরে মাদ্রাসাছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ বাধে। পরে এতে ছাত্রলীগ ও এলাকাবাসী যোগ দেয়। এসময় পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।