রাফিঃ দুঃসময় কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না, সবখানে একই চিত্র। হারটা হয়ে উঠেছে নিত্যসঙ্গী। আফগানিস্তানও তাদের কাছে এখন হুমকি। সব মিলিয়ে কোণঠাসা অবস্থাই এখন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের। তাই ডেভ হোয়াটমোর তো আছেনই, দলের উন্নতির জন্য ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে দলটি নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কার সাবেক ব্যাটসম্যান মারভান আতাপাত্তুকে।
জিম্বাবুয়ের সাথে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক এই অধিনায়ক। কাজ করছেন সাবেক বস ডেভ হোয়াটমোরের সাথে। তিনি বাংলাদেশের কাছে পরিচিত চেহারাই। বিপিএলের তৃতীয় আসরে চিটাগং ভাইকিংসের কোচের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। যে কারণেই বাংলাদেশ দলের উত্থান নিয়ে কথা বলতে হলো তাকে। যেখানে বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করতে দেখা গেল আতাপাত্তুকে।
কি পরিবর্তন দেখছেন? বাংলাদেশের অবস্থান এবং দলগত বিশ্বাস নিয়ে কথা বললেন সাবেক এই লঙ্কান কোচ, ‘আমার মনেহয় বর্তমানে বাংলাদেশ খুবই উচু পর্যায়ে আছে। তারা বড় বড় দলের সাথে জিতেছে ঘরের মাটিতে। তারা দলগতভাবে খেলছে। আমার মনেহয় তারা বিশ্বাস করে, যে কেনো পরিস্তিতিতে তারা জিততে পারে। এটাই মূলত বড় মন্ত্র তাদের। আমি যখন অনূর্ধ্ব-১৯ খেলি (১৯৮৯), এর পর আমার দেখা এটাই বড় পরিবর্তন।’
ডেভ হোয়াটমোর যখন শ্রীলঙ্কার কোচ তখন লঙ্কানদের ব্যাটিং কান্ডারি ছিলেন আতপাত্তু। সেই হোয়াটমোরের সাথেই এখন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এ কারণে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন আতাপাত্তু, ‘সব সময়ই আমাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। সে দারুণ মানুষ। সে এখানে ছিল (বাংলাদেশে), শ্রীলঙ্কায় ছিল। আবার পাকিস্তানেও ছিল। তার সাথে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।’
তবে পরিবারকে সময় দেয়ার কারণে নিজেকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ভাবতে চান না আতাপাত্তু। আবার ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার চিন্তাও করতে পারেন না, ‘আমার মনে হয়েছে পরিবারকে অনেক সময় দেয়া দরকার। এই ভাবনা থেকেই আমি শ্রীলঙ্কা দল থেকে পদত্যাগ করেছিলাম। এই কাজটা আমি গত ২৫ বছর ধরে করতে পারিনি। যেটা টিক নয়। আমার পরিবারকে আমি আগে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি যা করছি তা নিয়ে আমি খুশি। তবে আমি খেলা থেকে অনেক দূরে চলে যেতে চাই না। কারণ এটাকে আমি ভালোবাসি এবং এ সম্পর্কে আমি ভালো বুঝি।’