পাকিস্তানের বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলায় ২১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পেশওয়ারসহ বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ ও মোমবাতি মিছিল হয়েছে। দেশটির উত্তর পশ্চমাঞ্চলে বুধবারের এই হামলায় ২১ জন নিহত হয়েছেন।
হামলার ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নিহতদের স্মরণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কোয়েটা শহরে মোমবাতি মিছিল করা হয়েছে। করাচিতে বহু মানুষ হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল অসীম বেজওয়া জানান, হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। হামলাকারীরা কোথা থেকে এসেছে, তাদেরকে কারা পাঠিয়েছে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য তাদের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া গেছে। হামলার আগে সন্ত্রাসীরা যে সব মোবাইল ফোনে অনবরত কথা বলছিল সেগুলোর দুইটি আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। জানান বেজওয়া।
তবে হামলা সংক্রান্ত তথ্যগুলো স্পর্শকাতর হওয়ায় এখনই উন্মুক্ত করা যাচ্ছে না বলে ডনের অনলাইনের বরাতে জানা গেছে।
পাকিস্তান তালেবানের একটি অংশ হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে এই হামলাকে অনৈসলামিক ঘোষণা দিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার ঘোষণা দিয়েছে তালেবানের অপর অংশের নেতারা।
বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয় পেশওয়ার থেকে ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) দূরে অবস্থিত। ঐদিন সকালে বন্দুকধারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে হামলার ঘটনায় এতে একজন অধ্যাপক, দুইজন মালি ও একজন তত্ত্বাবধায়ক এবং ১৭ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়। ২০১৪ সালেও তালেবানের এই গ্রুপটি পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে হামলা চালিয়েছিল। ঐ ঘটনায় ১৩০ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়।