ঘটনার শুরু সেই ২০১১ সালে। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্বে আসলেন সাকিব আল হাসান। এদিকে মাশরাফি বিন মুর্তজা মাত্রই ইনজুরি থেকে ফিরেছেন। সামনেই বিশ্বকাপ। দলে থাকবেন কি থাকবেন না তাই নিয়ে কানাঘুষা। এবং শেষ পর্যন্ত মাশরাফি দলে সুযোগ পেলেন না। বেশ ভালোভাবেই কথা রটে গেলো সাকিবের কারণেই মাশরাফি দলে সুযোগ পাননি। হয় তো সাকিব ইচ্ছে করলেই মাশরাফিকে দলে রাখতে পারতেন।
সেখান থেকেই কথা ওঠে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো না। এসবের মধ্যেই হঠাৎ করে মাশরাফি হোটেল ছেড়ে বাসায় চলে যান। তখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আসল ঘটনা কি ছিল তা শোনা গেলো মাশরাফি ও সাকিবের মুখেই। দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে নিজেদের মুখেই জানালেন আসল ঘটনা।
সেই ঘটনায় সাকিব বলেন, ‘অনেকে অনেক রকম বলতে পারে, তবে আমরা জানি আমাদের সম্পর্ক কী। একবার হলো না যে, আমাদের নিয়ে অনেক কথাবার্তা, তো পরদিন পত্রিকায় আমাদের একসঙ্গে ছবি দিয়ে লিখল, একসঙ্গে বসে থাকলেও আমাদের মধ্যে নাকি মিল নাই। আমি এমন একজন মানুষ না যে, যার সঙ্গে মিল নাই, তার পাশে গিয়ে বসতে পারব।
সাকিবের সাথে মাশরাফিও বলেন, ‘আরেকটা বিষয়ও এই সুযোগে পরিষ্কার করে দিই। অনেকের ভুল ধারণা আছে যে, সাকিবের ক্যাপ্টেনসির সময় আমি রাগ করে হোটেল ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। হোটেল ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম সত্যি, তবে আমি সাকিবের কারণে যাইনি। আমার আম্মা অসুস্থ ছিলেন। আর আমি সব নিয়ম মেনেই হোটেল থেকে বেরিয়েছি। প্রধান নির্বাচক, সিইও, ক্রিকেট অপারেশন্সকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। ২০১১ বিশ্বকাপের সময় যেমন অনেক কথা হলো, সাকিব আমাকে দলে চায়নি। ও বলেছে, কথাটা সত্যি না। আমিও ওর কথাই বিশ্বাস করি। তবে আমার কথা হলো, ও যদি ওই মুহূর্তে আমাকে না চায়, না-ই চাইতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্যাপ্টেন হিসেবে ওর মনে হতেই পারে, ওই সময় আমাকে দলে দরকার নাই। এটা নিয়ে সাকিবের সঙ্গে আমার সমস্যা হবে কেন? আমার কাছে সাকিব ছোট ভাই ছিল, এখনো ছোট ভাই-ই আছে। আমার একটা ছোট ভাই আছে, ওর চেয়ে তিন-চার বছরের ছোট। ওকে, দলের বাকি সবাইকেও আমি ছোট ভাইয়ের মতোই দেখি। ওরা ভুল করলেও আমি ক্ষমা করে দিই। আর আমি ভুল করলেও ওদের সামনে ছোট হতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমার বিশ্বাস, আমার সঙ্গে সাকিবের কোনো সমস্যা হলে ও সেটা সবার আগে আমাকেই বলবে।’