বর্তমান ফুটবলে শূন্যের ওপরের সিংহ বলা হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। প্রতিপক্ষের গোলমুখে বল শূন্যে ভেসে গিয়ে রোনালদোর মাথা স্পর্শ করা মানেই গোলরক্ষকের অবস্থা খারাপ। বুলেটের গতিতে তা জালের যে কোনো জায়গায় জড়াতে পারে। কিন্তু লিওনেল মেসির ব্যাপারটা ভিন্ন। ফুটবলে অবিশ্বাস্য সব গোলে তার প্রধান অস্ত্র বাঁ পা। বার্সেলোনার এ আর্জেন্টানন স্ট্রাইকারের বাঁ পায়ে যেন বুলেটের শক্তি নিহিত। ক্যারিয়ারে বেশি গোল করেছেন বাঁ পায়ে। হেডে তিনি বেশ দুর্বল। কালেভাদ্রে তার মাথা স্পর্শ করে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ায়। তবে হেডে তিনি যে গোলই করুণ না কেন, তাতে অবদান তার বাল্যকালের গুরুর। ছোটবেলা থেকেই মেসি মাথা দিয়ে গোল করায় দুর্বল ছিলেন। তুলনামূলক বেটে বলেই সম্ভবত এই অবস্থা। তবে তার ছোটবেলার গুরু কার্লোস মার্কনি মেসির হেডে গোল শেখানোর রহস্য ফাঁস করলেন। সেখানে ফুঁটে উঠেছে অন্য এক মেসির ছবি। এই মেসি বিস্কুটলোভী। ঘটনা হল, ছোটবেলায় চকোলেট কুকিজ পছন্দ করতেন মেসি। আর এই জিনিসের লোভেই এক সময় হেডে গোল করতে শেখেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে তার বাল্যকালের কোচ কার্লোস বলেন, ‘তাকে একদিন আমি বলি, গোল করলে তোমাকে চকোলেট কুকিজ দেব।’ কোচের কাছ থেকে এমন প্রস্তাাব পাওয়ার পরেই গোল করতে শুরু করে দেন মেসি। তখন চারটি গোল করেছিলেন। কোচও তাঁকে চারটি কুকিজ দেন। তবে সে গোলগুলোর একটাও হেডে ছিল না। পরে কার্লোস ছোট্ট মেসিকে বলেন, ‘হেডে গোল করলে, তোমাকে গোলপ্রতি দুটো করে কুকিজ দেব।’ এরপর মেসি কী করলেন? সবাইকে কাটিয়ে গোলের সামনে গিয়ে বল লব করে হেড দিলেন। আর তা জালে জড়িয়ে গেল। গোল করেই গ্যালারিতে বসে থাকা কোচের দিকে ইশারা করে দুই আঙুল দেখান মেসি। যার অর্থ, এবার কিন্তু আমাকে দুটো বিস্কুট দিতে হবে।