রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে নতুন নিয়োগ হচ্ছে। তবে এই নিয়োগের আওতায় থাকছে না কোনো মানুষ। এবারে পাঁচ ডলফিনকে নিয়োগ দেওয়া হবে এই বাহিনীতে। দেশটির সরকারি এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয় এক নথি। আর তাতে দেখা গেছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামরিক দায়িত্বের কাজের জন্য খুঁজছে পাঁচটি ডলফিন। এ খবর দিয়েছে সিএনএন। খবরে বলা হয়, ওই বিজ্ঞপ্তিতে তিনটি পুরুষ ও দুইটি নারী ডলফিন নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এসব ডলফিনের দৈর্ঘ্য হতে হবে ২.৩ থেকে ২.৭ মিটারের মধ্যে। আর এদের বয়স হতে হবে তিন থেকে পাঁচ বছর। এসব ডলফিনের প্রতিটির জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৫ হাজার রাশিয়ান রুবল বা পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার। বাড়তি শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, এসব ডলফিনের ত্বকে কোনো ধরনের দৃশ্যমান ক্ষত থাকা যাবে না, থাকতে হবে সুস্থ-সবল দাঁত। আর প্রতি মিনিটে দুইবার থেকে চার বার শ্বাস নিতে সক্ষম হতে হবে এসব ডলফিনকে। আর শারীরিকভাবে সচল থাকার শর্তও দেওয়া হয়েছে এই পাঁচ ডলফিনের জন্য। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ক্রয়াদেশে এসব ডলফিনকে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী বিশেষজ্ঞের সামনে ধরতে হবে। আর এদের বহন করতে হবে সমুদ্রের পানিতে পূর্ণ বাথটাবে করে।
সামরিক কাজে প্রাণিদের ব্যবহার নতুন নয়। সেই আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেটের আমলে যুদ্ধে হাতির ব্যবহারের কথা সর্বজনবিদিত। যুদ্ধে ঘোড়ার ব্যবহার তো হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত। বিচিত্র নানা কাজে এখনও কুকুরের ব্যবহার হয়ে থাকে। এর আগে রাশিয়া ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য সমুদ্র ঘোটক ও ডলফিনকেও কাজে লাগানো হয়েছে। সামুদ্রিক এসব স্তন্যপায়ীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো যায়। সমুদ্রের নিচে মাইন খুঁজে বের করা বা শত্রুপক্ষের স্কুবা ড্রাইভারদের শনাক্ত করার মতো কাজে বেশ পারদর্শী এসব ডলফিন। তবে রাশিয়া এই পাঁচটি ডলফিনকে ঠিক কী কাজে ব্যবহৃত করবে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি।