সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: লন্ডন প্রবাসী যুবক সুমন সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার কাদাকাটি গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে, মা জোবেদা হক, মোজাম্মেল হকের তিন ছেলের মধ্যে সুমন সব চেয়ে ছোট,এলাকার লোক মুখে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুমন বাংলাদেশে থাকা কালীন অবস্হায়, গাঁজাসহ ফেনসিডিলের মতো নেশায়
আসক্ত হলে পরিবারের পক্ষ থেকে বহু কষ্টে আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগীতার মাধ্যমে পরিবার তাকে লন্ডনে পাঠান, কিন্তু বিদেশে গিয়েও প্রতারক সুমন তার চরিত্র বদলাতে পারেনি। বিভিন্ন ভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে মেয়েদের ভালবাসার প্রলোভন দেখিয়ে সে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং মূল্যবান সামগ্রি আত্নসাত করে তাদেরকে পথে এনে ছেরে দেয়।
প্রতারণার শিকার ওই মেয়েটি সম্প্রতি অভিযোগ করে বলেছেন, বিগত ৪ বছর ধরে সুমন তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে একই বাসায় বসবাস শুরু করে। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতোই ঘর সংসার করতো। কিন্তু প্রতারক সুমন বিয়ে না করে তার অর্থ, সোনা-দানাসহ সব কিছুই খেয়েছে। বিয়ের কথা বললে সে নানা কৌশলে এড়িয়ে যেতো। তাকে বর্তমানে পথে ভাসিয়ে দিয়ে কিছুদিন আগে প্রতারক সুমন বাংলাদেশে গিয়ে বিয়ে করেছে। ফলে সে আজ পথে পথে ঘুরে ফিরছে। সে ওই প্রতারকের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
ওই যুবতি স্বদেশ নিউজ২৪ কে জানান লন্ডন থেকে সেল ফোনে জানান, প্রতারণার বিষয়টি তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরকে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন এবং এর প্রতিকার দাবি করেছেন। প্রয়োজনে তারা সাংবাদিক সম্মেলনের কথাও বলেন। শুধু তাই নয় সুমন লন্ডনে যাদের বাসায় ঐ যুবতির সাথে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে থাকতেন এরকম মোট ১৫ জন স্বাক্ষীর লিখিত পত্র তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে প্রমানিত হয় যে কতটা পাশবিকতার সাথে প্রতারক সুমন এধরনের প্রতারনা মুলক জঘন্য কাজে লিপ্ত ছিল।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমার মতো আর যেনো কোন বোন বা মেয়ে এভাবে যাতে প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য প্রবাসীদেরকে সর্তক করে দিতে চাই। আর এ জন্যই আমি গনমাধ্যমের সহযোগিতায় তার ঘটনাটি পত্রিকায় তুলে ধরতে চায়।
খোলা চিঠি :
লোকটার নাম এস এম তারিক ইসরাক (সুমন) সে গত চার বছর ধরে আমার সাথে সম্পর্কে ছিল আমাকে বিয়ে করবে বলে, শুধু তাই নয় আমরা স্বামী স্ত্রী হিসেবে একসাথে লিব টুগেদার করতাম, বহুবার তাকে বিয়ের কথা বললে সে প্রতিবারই বলছে সামনে বছর করবো, বলে শুধু টাল বাহানা করতো,কিন্তু গতমাসে সে কাউকে কিছু না জানায়ে বাংলাদেশে এসে গোপনে বিয়ে করে আসছে, তার টাকা পয়সার প্রতি খুব লোভ সে দিনের পর দিন আমাকে ব্যবহার করছে, আমার কাছ থেকে মুল্যবান জিনিস পত্র যেমন- দামী মোবাইল, আইপেড, স্বর্ণালংকার নগদ টাকা নিয়েছে।
শুধু তাই নয় সে বাংলাদেশে যাওয়ার আগে আমাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে, তার বাংলাদেশে থাকা অবস্হায় দুজন মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল, এখানে আসার পরও সে আমার সাথে সম্পর্ক করার আগে একটা লিথুনিয়ান মেয়ের সাথে এক বছরের মতো লিভ টুগেদার করেছে, সে একটা নেশা গ্রস্তলোক এখানে গাজা ইয়াবা খেয়ে প্রায়ই আমাকে মারধর করতো টাকার জন্য, আমার সাথে তার সম্পর্কের কথা তার ফ্যামিলিতে সবাই জানে, এমনকি তার বোন ফোন করে হুমকি দিয়েছে যেন তার ভাইয়ের কাছ থেকে সরে যায়, আর না হলে আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়, যার রেকর্ড আমাদের কাছে আছে, এখন সে মোটা অংকের যৌতুকের লোভে বেদবহাটা ইউনিয়নের পারুলিয়া গ্রামের মেয়ে মৌসুমিকে বিয়ে করে গত মাসের ৪ তারিখে। সে এবং তার বোন ব্যাপক অর্থলোভী তারা অর্থের জন্য পারেনা এমন কোন কাজ নেই।
তার বোনের নাম মাহাবুবুন্নাহার শিল্পী,(৩৪)। সে আলীপুরের জনাব আসাদুল হক সাহেবের স্ত্রী।আমি এলাকার এবং সাতক্ষীরা জেলার মানুষের সচেতনতার জন্যে আমার এ লেখাটা জনস্বার্থে প্রচার করার জন্য অনুরোধ করছি, যেন সবাই এধরনের প্রতারক মানুষ ও অর্থলোভী ফ্যামিলি থেকে সাবধান হয়ে যায়, যেন শুধু ছেলে বিদেশে থাকে শুনেই অন্ধের মতো নিজেদের মেয়েদের জীবন এভাবে নষ্ট না করে, যে অর্থের লোভে একজনকে ছেরে আর একজনের কাছে যায়, তার কাছে দ্বিতীয় জনকে ছেরে তৃতীয় জনের কাছে যাওয়া অসম্ভব কিছু না।
সে আপনার আমার মেয়ে অথবা বোনের সাথেও হতে পারে।