সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম:
তনুর ধর্ষক কারা? সেনাবাহিনী! এই প্রশ্নের উত্তর কি?…………..
কি হেড লাইন দেখে চমকে গেলেন আসলে এমনটা আমিও চমকে গিয়েছিলাম। আসলে কি হচ্ছে। সেনানিবাসে এক তরুনীর এমন নিমর্ম মৃত্যু। নিজের বিবেকের কাছে নিজে বার বার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি তনুর এই ঘটনা নিয়ে। আর তার চেয়ে বেশি হৃদয়ে আঘাত হানছে যখনই তনুকে নিয়ে সারাদেশে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও উত্তাল।
কি দোষ ছিল তনুর!!! কেনই এমন নিমর্মভাবে ধর্ষনের পর হত্যা করা হলো। এভাবে তো আর চুপ করে বসে থাকা যায় না। অনেক খবর, স্ট্যাটাস শুধুই দেখে যাচ্ছি। আমরা কি শুধু দর্শক আর পাঠকই হয়ে থাকবো। ভিক্টোরিয়ার ছাত্রী তনু হত্যার ব্যাপারে সরকার ও মিডিয়া এবং গনমাধ্যমগুলোর শতভাগ ভূমিকা থাকা এখন একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে? সারা দেশ যেখানে একত্রিত হচ্ছে এক তনুকে নিয়ে, স্থানে স্থানে ভিক্ষোভ, মানববন্ধন করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, হাজার হাজার ইভেন্ট খোলা হচ্ছে ফেসবুকে। সেখানে আমাদের মিডিয়া গুলার অবস্থান আমি আরো অনেক বেশি সক্রিয় আশা করছি। এই বিষয়টা নিয়ে নিরবতা পালন করলেই বার বার প্রশ্ন আমাদের গায়েই এসে পড়বে কে বা কারা আসল হোতা? তাহলে কি রয়েছে বিরাট কোনো রহস্যের জটলিকা? কারা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী তনুকে প্রথমে ধর্ষণ তারপর গলা কেটে হত্যা করলো??? কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় এমন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড! তনুও থাকে সেনানিবাস এরিয়ায়! এমনকি ঘটনার দিন সে ওই এলাকার বাইরেও যায়নি কিন্তু!! যেই স্থানে এই ঘটনা কিছুক্ষণ পরপর সেনা টহল কিন্তু ওই জায়গায় হয়!! তাইলে ক্যামনে কি!!!?? সেনানিবাস এলাকায় ঢুকতে গেলে আপনার চৌদ্দ গুষ্টির তথ্য দিয়ে ঢুকতে হবে, তাহলে ধর্ষকরা যদি বাইরে থেকে ঢুকে থাকে তবে সেনাবাহিনীর কাছে নিশ্চই সেই তথ্য আছে ? তবে কারা? আমি বলছিনা সেনাবাহিনী জড়িত!…….. সেনানিবাস কর্তৃপক্ষের কাছে আমার প্রশ্ন যদি আপনাদের এত কড়া নিরাপত্তার চাদরে থেকেও তনুকে প্রাণ দিতে হলো। তাহলে কি এ ব্যাপারে উদাসীন নন?? তবে এই উদাসীনতা থাকবে না আমি বিশ্বাস করি আপনারাই আপনাদের জীবন বাজি রেখে যে সুনাম অর্জন করেছেন তা রক্ষাথেই এই হত্যাকান্ডের আসল রহস্য উদঘাটন করবেন।
তনুকে তো একের অধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে শুনা গেছে তাও ভদ্রভাবে! আই মিন – প্রটেকশন ইউজ করে…….তারমানে এই কাজের সাথে জড়িতরা জানতো প্রটেকশন ছাড়া করলে দ্রুত ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা আছে! (সাধারণ কারো মাথায় এত আধুনিক বুদ্ধি! ভাবা যায়? হত্যাকান্ডের পর তনুর বাসায় তার কোনো সহপাঠিকে নাকি সেনাবাহিনী ঢুকতে দেয়নি, ৫/৬ জন সহপাঠি অনেক কষ্টে শেষ দেখা দেখতে পরেছে, তাও হাজারো অজুহাত দাঁড় করিয়ে। তনুর মা বাবাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকির উপর রেখে তাদের মোবাইল ফোনও নাকি জব্দ করে রাখছে কে বা কারা, কারা তাহলে এরা? নিশ্চই প্রভাবশালী কারো হাত আছে কিংবা ঐ পাষণ্ডরাই যে প্রভাবশালীদের শরণাপন্ন হয়নি এমন কথা কি আমরা ভাবতে পারি না? প্রমাণ হওয়ার আগেই আমি এতসব মিক্স করে জগাখিচুড়ী বানিয়ে ফেলতেছি, আচ্ছা দেখা যাক কতটুকু প্রমাণ মিলে (!!!) সব বাদ দিলাম, একটা জিনিস মোটামুটি পরিষ্কার – যারা ধর্ষণ করেছে তারা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরেই থাকে। বাইরের মানূষের সাহস হবে না ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে গিয়ে ধর্ষণ করার। তারা ভালো মতোই জানে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে ধর্ষণ করা আর নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে ধর্ষণ করা সমান কথা। ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের যে মানুষদেরই ভালো জানার কথা কখন ধর্ষণ করলে সেটাতে ধরা পড়ার চান্স কম। এটাও খুজে বের করা হোক মেয়েটার প্রতিদিনের টিউশনীর রাস্তায় কোনো ছেলে তাকে টীজ করতো কিনা, কোন ছেলেজনিত সমস্যায় মেয়েটা ছিলো কি না। কেউ না কেউ জানবেই। তার কাছের বন্ধু বান্ধব কিংবা পরিবার। আর তাছাড়াও ধর্ষকদের ট্রেস করার যতো প্রমাণ দরকার তা চেষ্টা করলেই বের করা যাবে। সো, সোহাগী তো মরে গিয়ে বাঁচলো, আমরা বেঁচে আছি কেন? এভাবে বেঁচে থাকাকে কী বেঁচে থাকা বলে? একের পর এক আমাদেরই নাকের ডগার ওপর দিয়ে এভাবে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত তনুরা! আমরা মরি না কেন? আমাদের মরে যাওয়াই উচিত! এসব প্রতিরোধ/ প্রতিকার করতে না পারলে আমাদের মরে যাওয়াই উচিত! বেঁচে থাকার অন্তত কোনো অধিকার আমাদের নেই।
কিছুক্ষন আগে এক গনমাধ্যম সূত্রে জানলাম যে, সোহাগীর ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন জানিয়েছন, ‘ওর (সোহাগী) মৃত্যুর পর বাবা-মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তাঁদের কথা বলার মতো মানসিক শক্তি নেই। তার এক খালাতো বোনের কাছ থেকে শুনেছে, ক্যান্টনমেন্টের এক সৈনিক ওকে (সোহাগী) বিরক্ত করত।’ এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন গতকাল বিকেলে তাঁর দপ্তরে দেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমকে জানান, ‘পুলিশকে সময় দিতে হবে। তদন্তে আস্তে আস্তে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। আমরা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। এ ছাড়া ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
জানি আমার মতো একজন নগন্য ব্যক্তির এত জটিল ও কঠিন হিসাব অনেকের কাছে ভালো লাগবে না এবং বুঝবেন না আবার অনেকরে কাছেই পরিস্কার। তবে আমি একজন ক্ষুদ্র গনমাধ্যমকর্মী হিসেবে বলবো আমি এবং আমরা আর পিছ পা হবো না। তনু হত্যার বিচার করতে হবে । স্বাধীনতা দিবসের মাসে আমরা এক তনুকে হারিয়েছি আর কোন তনুকে হারাতে চাই না দেব না। তাই সরকারের প্রতি আজ জাতির এটাই দাবি-তনুর ধর্ষক ও খুনী কারা? তনুর হত্যার বিচার করতে হবে। কারন তনু কোন বিশেষ ব্যক্তিত্ব নয়, নয় কোন রাজনৈতিক নেত্রী। ছিল একজন সাধারন মেয়ে কিন্তু ও আজ কোটি মানুষের হৃদয়ে।
এভাবেই সবাই সচ্চার থাকুন
এই কামনায়-
আরজে সাইমুর রহমান
সম্পাদক-স্বদেশ নিউজ২৪.কম
প্রতিষ্ঠাতা- রেডিও স্বদেশ ডট নেট & Swadesh.tv
fb.com/saimurbd
fb.com/rjsaimur1