সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ: এই তো কয়েক মাস আগেই প্রকাশিত হয়েছিল প্রবাসী সংগীতশিল্পী সীমা খান এর প্রথম একক এ্যালবাম ”যাক উড়ে যাক”। দেশের স্বনামধন্য অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সীমা খানের এ্যালবামটি প্রকাশ পায়। এ্যালবামটিতে রয়েছে মনের মতো কিছু গান। পবিত্র রমজান মাস চলছে আর এই রমজানের রোযাা শেষেই ঈদে দর্শক-শ্রোতাদের জন্য নতুন চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সংগীতশিল্পী সীমা খান। জি সিরিজের ব্যানারে বাজারে আসছে তার ভিন্ন স্বাদের একটি মিউজিক ভিডিও। আছো তুমি শিরোনামের এই গানটি তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘যাক উড়ে যাক’ থেকে নেওয়া হয়েছে। ঈদজুড়ে দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে মিউজিক ভিডিওটি প্রচারিত হবে।
গানটিতে সীমা খানের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন নাসিম আলী খান। গানটির কথা ও সঙ্গীত আয়োজন করেছেন আহমেদ রাজীব। পরিচালনা করেছেন মঞ্জু আহমেদ।মিউজিক এরেঞ্জমেন্ট মীর মাসুম।
তিনি উচ্চাঙ্গ সংগীত শিখেছেন ওস্তাদ জাকির হোসেন, ওস্তাদ আক্তার সাদমানীর কাছে। নজরুল সংগীত শিখেছেন খালিদ হোসেনের কাছে। নিজের আগ্রহ আর চেষ্টায় দেশাত্মবোধক এবং আধুনিক সংগীতেও তিনি পারদর্শী হয়ে ওঠেন।
স্বদেশর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে আসে তার শৈশব কৈশোরের নানা দিক। বাংলাদেশের চাঁদপুরের মেয়ে সীমা খান বাল্যজীবন কেটেছে মূলত ঢাকায়। বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি’র পর ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। সেখানকার ব্লুমিংটন ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্সট্রাকশনাল ডিজাইনে মাস্টার্স শেষে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ক্যাপেলা ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। পিএইচডি’র মেজর ছিল ইন্সট্রাকশনাল ডিজাইন ফর অনলাইন লার্নিং।
কর্মজীবনে তিনি প্রথমে টেক্সাসের একটি মাধ্যমিক স্কুলে এবং পরে ভার্জিনিয়ার একটি এলিমেন্টারি স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করেছেন। পরে যোগ দেন ইউএস ফেডারেল গভর্নমেন্টে। সেখানে প্রথমে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন ইউনিভার্সিটি এবং পরে স্টেট ডিপার্টমেন্টে এডুকেশন স্পেশালিস্ট হিসেবে যোগ দেন।