আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। সকালে সাতখুন মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পাবলিক প্রসিকিউটর।
এ মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি, জুডিশিয়াল রেকর্ড ও ডেথ রেফারেন্স উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওয়াজেদ আলী খোকন। এসময় সাংবাদিকের কাছে রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন তিনি।
রায়ে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নূর হোসেন ও নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করেই সাত খুনের ঘটনা ঘটে। মূল টার্গেট ছিলেন নজরুল ইসলাম, বাকি ৬ জন পরিস্থিতির শিকার। পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়, এই মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২৬ জনই অপহরণ থেকে শুরু করে হত্যা ও লাশ গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলো।
র্যাব সম্পর্কে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ব্যক্তিগত লোভ থেকেই র্যাব কর্মকর্তারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত হয়। এসময়, সাত খুনের ঘটনা ঘটলেও র্যাবের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। গত ১৬ জানুয়ারি এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।