পৌর কটিয়াদীতে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ কটিয়াদী পৌর প্রকৌশলী শাহ আলমের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌর মেয়র শওকত উসমান। শনিবার বেলা ১১টায় পৌরসভা কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে মেয়র শওকত ওই প্রকৌশলীর অপসারণ দাবি করেন। শওকত বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন গ্রামীণ টাওয়ারের কাছে হারুন মিয়ার বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপের সময় স্থানীয় জনতা পৌর প্রকৌশলী শাহ আলমকে আটক করে। এ ঘটনাটি তাৎক্ষণিক কাউন্সিলর শরিফ সরকার ও পৌর স্টাফ দেলোয়ার হোসেন রকি মোবাইল ফোনে আমাকে অবগত করেন। আমি ঢাকায় অবস্থান করায় পৌরসভার টিকাদানকারী জাহাঙ্গীর ও দেলোয়ার হোসেন রকিকে নির্দেশ দেই। এরপর আমার ছেলে লিটন মিয়ার সহযোগিতায় শাহ আলমকে উত্তেজিত ২-৩শ লোকের হাত থেকে তালাবদ্ধ ঘর থেকে নারীসহ উদ্ধার করা হয়। এখন পৌর প্রকৌশলী ওই ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর সোহরাব উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, পৌর সচিব আলমগীর প্রমুখ। জানা যায় পৌর প্রকৌশলী শাহ আলম দীর্ঘদিন যাবত নিজেকে সরকারী আমলা পরিচয় দিয়ে একাধিক নারী কেলেংকারীর সাথে জড়িত রয়েছে। ঘটনার দিন প্রকৌশলী শাহ আলমকে স্থানীয় জনতা জনৈকা মহিলার সাথে অসামাজিক কাজে জড়িত অবস্থায় তাকে আটক করে বেধরক প্রহার করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকৌললী শাহ আলম কটিয়াদী পৌরসভার মেয়র শওকত ওসমান এর ছেলে, ভাতিজা সহ অন্যান্যদের দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
কটিয়াদীতে কলেজ ছাত্র উদ্ধার
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী বাজার থেকে অপহৃত কলেজছাত্র জুয়েল (১৮) উদ্ধার হয়েছে। উপজেলার কামারকোনা নামক স্থান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শামীম নামক অভিযুক্ত অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই কলেজছাত্র জুয়েলকে কটিয়াদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রেম ঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে কটিয়াদী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র জুয়েলকে অগ্রনী ব্যাংকের সামনের রাস্তা থেকে প্রকাশ্যে একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। সংবাদ পেয়ে পৌর মেয়র শওকত উসমান, কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন, পুলিশ ও এলাকাবাসী রাত ১০টার দিকে কামারকোনা নামক স্থানে অপহরণকারীদের ধাওয়া করে জুয়েলকে উদ্ধার করে। এ সময় শামীম (৩০) নামের এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। পুলিশ পিকআপ ভ্যানটি আটক করেছে। এ ব্যাপারে রোববার জুয়েলের পিতা মইনুদ্দিন বাদী হয়ে ৯জনকে আসামি করে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছে। কটিয়াদী থানার ওসি আহসান উল্লাহ বলেন, প্রেম ঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে তারই প্রতিপক্ষরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।