৭ই ফেব্রুয়ারি শেষ হলো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের ৫ বছরের মেয়াদ। দেড়শ বছরের পুরোনো এই পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর, জনপ্রতিনিধিরা নগরবাসীর আকাঙ্ক্ষা কতটা পূরণ করতে পেরেছেন, তা এখন সবার প্রশ্ন।
তবে মেয়াদকালের শেষ দিকে দৃশ্যমান কিছু কাজ হলেও তা প্রত্যাশাকে ছুঁতে পারেনি বলেই মত নাগরিকদের। তবে জনগণের ৮০ ভাগ প্রত্যাশাই পূরণ করতে পেরেছেন বলে দাবি সদ্য সাবেক জনপ্রতিনিধিদের।
২০১১ সালের ২৩ জুন, সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয় কুমিল্লা। মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম নগর পিতা নির্বাচিত হন মনিরুল হক সাক্কু। পরে তার নেতৃত্বে ২৮ জন কাউন্সিলর এবং ৯ জন মহিলা কাউন্সিলর নিয়ে যাত্রা শুরু হয় সিটি করপোরেশনের।
এরপর, কেটে গেছে ৫ বছর। শেষ হয়েছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদকাল। আর শেষ কয়েক বছরে জাইকার বেশ কিছু প্রজেক্টে দৃশ্যমান কাজ হওয়ায় চেহারা বদলেছে নগরের। তবে নাগরিকদের মতে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের কারণে সৃষ্ট প্রচণ্ড যানজট, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং জলাবদ্ধতার মত সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ জনপ্রতিনিধিরা।
তবে ভিন্ন ভিন্ন মত দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতাদের।
এদিকে, সদ্য দায়িত্ব ছাড়া নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দাবি, নিজেদের মেয়াদকালে ৩শ’ ৮৫ কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে, যা জনগণের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি।
৫৩ দশমিক শূন্য চার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই সিটি করপোরেশনে ৫ লাখ মানুষের বাস।