সিলেটে কলেজ ছাত্রী খাদিজা হত্যাচেষ্টার দায়ে বদরুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এ আদেশ দেন। রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বজন এবং আইনজীবীরা।
বুধবার সকাল ১০টা, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে নিয়ে আসা হয় খাদিজাকে হত্যা চেষ্টার মূল আসামি বদরুলকে। এসময় জনাকীর্ণ আদালত প্রাঙ্গণে ছিলো না তিল ধারণের ঠাঁই।
এরপর এজলাসে আসেন মামলার বিচারক আকবর হোসেন মৃধা। এসময় তিনি ৩০ পৃষ্ঠার রায়ে খাদিজাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার মতো নৃশংস ঘটনায় আসামি বদরুলের সংশ্লিষ্টতা নিরঙ্কুশভাবে প্রমাণ হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ন্যায় বিচার পাওয়ায় এসময় সন্তোষ প্রকাশ করেন মামলার বাদি এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
মামলার বাদি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘রায়ে আমি সন্তুষ্ট। যে সকল আইনজীবী আমাকে সাহায্য করেছেন সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’ দ্রুততম সময়ে মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।সিলেটের পিপি অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন,রায়ে বদরুল আলমকে ৩২৬ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।এদিকে, উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানালেন বদরুলের আইনজীবী।
গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেট এম সি কলেজ ক্যাম্পাসে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বদরুল আলম ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে খাদিজাকে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয় তাকে। মাত্র ৫ ভাগ বেঁচে থাকার আশা নিয়ে চিকিৎসকরা তার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার করেন।
দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটে নিজ বাড়িতে ফিরে যান খাদিজা। ২৬ ফেব্রুয়ারি সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রথম সাক্ষ্য দেন খাদিজা। এরপরই মামলার কার্যক্রম শেষ করে রায় দিলেন আদালত।