ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আহসানুল আলমকে অপসারণ করা হয়েছে। গতকাল ব্যাংকটির ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরাস্তু খান বলেন, প্রত্যেকটি ব্যাংকে একজন করে ভাইস চেয়ারম্যান থাকেন। আমাদের এখানে দুজন থাকায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে একজনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে আল-রাজি গ্রুপের প্রতিনিধি ইউসুফ আবদুল্লাহ আল-রাজি ব্যাংকটিতে এখন একজন ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া সভায় রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল মাবুদকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম মোহাম্মদকে আফজালকে। তবে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম ও মো. আবদুল মাবুদ এখন থেকে ব্যাংকের সাধারণ পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন। সভায় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আরাস্তু খানসহ এমডি আবদুল হামিদ মিঞা উপস্থিত ছিলেন। তবে সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ সভায় উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজের পদত্যাগ দাবি করেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা। এ ছাড়া রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে সভায় ২০১৬ সালের জন্য ঘোষিত নগদ ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেন সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা।
এদিকে সভায় সৌদি আরবভিত্তিক ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) ইসলামী ব্যাংক থেকে তাদের অধিকাংশ বিনিয়োগ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের সাড়ে ৭ শতাংশ শেয়ার থেকে ৫.৪ শতাংশ বিক্রি করবে আইডিবি। সভাশেষে আইডিবির প্রতিনিধি হিসেবে থাকা ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক আরিফ সুলেমান জানান, আইডিবির হাতে থাকা সাড়ে ৭ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২.১ শতাংশ রেখে বাকিটা বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি আরিফ সুলেমান।
ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন আসে গত ৫ই জানুয়ারি। এরপর থেকে ব্যাংকটিতে নানা পর্যায়ে অস্থিরতা দেখা যায়। এর মধ্যে ব্যাংকটির অন্যতম উদ্যোক্তা আইডিবি প্রতিনিধি গত ৩০শে মার্চ পরিচালনা পর্ষদের সভায় শেয়ার ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন। তখন থেকে ব্যাংকটিতে আবারও মালিকানা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।