1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
নতুন ভ্যাট আইন ২ বছরের জন্য স্থগিত, ১ লাখ ১ টাকা থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত শুল্ক ১৫০ টাকা বড় পরিবর্তন - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সোনার দাম আরও কমল রাজধানীতে পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির জায়েদ খানের এফডিসিতে ফেরা হবে কিনা, জানালেন ডিপজল কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট সিনেমা হলে দেওয়া হচ্ছে টিকিটের সঙ্গে ফ্রি বিরিয়ানি ঢাকায় বড় জমায়েত করতে চায় বিএনপি ১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন যশোরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেলের জয়লাভ গোবিন্দগঞ্জে অটোচালক দুলা হত্যার মূল আসামি আটক চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু পলাশবাড়ীতে উপজেলা নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিএনপি বলে বিরোধীদল দমন’ এবার বুবলী-শাকিবের ‘কোয়ালিটি টাইম’ নিয়ে মুখ খুললেন অপু

নতুন ভ্যাট আইন ২ বছরের জন্য স্থগিত, ১ লাখ ১ টাকা থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত শুল্ক ১৫০ টাকা বড় পরিবর্তন

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭
  • ৩৯০ Time View

71736_f1ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবে আবগারি শুল্ক  কমেছে। একইসঙ্গে নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট/ মূসক) আইন কার্যকর হচ্ছে না। বর্তমানে প্রযোজ্য আইনে ভ্যাট আদায় করা হবে। মূল্য সংযোজন কর ও  সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ আগামী ২ বছরের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের পর অর্থমন্ত্রী তার সমাপনী বাজেট আলোচনায় এ ঘোষণা দেন। পরে অর্থবিল
২০১৭ পাসের মধ্য দিয়ে এসব ঘোষণার আইনি ভিত্তি পায়। বিল পাসের পর এখন ১ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো শুল্ক দিতে হবে না। ১ লাখ ১ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ১৫০ টাকা। ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত ৫০০ টাকা। ১০ লাখ থেকে ১ কোটি পর্যন্ত দিতে হবে ২৫০০ টাকা। ১ কোটি থেকে ৫ কোটি পর্যন্ত ১২ হাজার টাকা ও ৫ কোটির ঊর্ধ্বে দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। এদিকে সমাপনী বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাজেট উপস্থাপনের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সব দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় দু’চারটি শুল্ক বা কর হারে বৃদ্ধির প্রস্তাবাবলীর ওপর। ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবের উপর শুল্ক বৃদ্ধি ছিল একটি বিতর্কের বিষয়। অনেক সংসদ সদস্য এবং গণমাধ্যম ভুলেই গিয়েছিলেন যে, এই শুল্কটি ২০০২ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে। কেউ কেউ বলেছেন, এই বাজেটটি একটি শ্রেষ্ঠ তামাশা। মূল্য সংযোজন কর নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এই আইন এদেশে প্রবর্তিত হয় ১৯৯১ সালে। সেটা পুরোপুরি সংশোধন করে একটি খসড়া ২০০৮ সালেই প্রস্তুত হয়। আমরা এই আইন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা, ডায়ালগ, বিতর্ক ইত্যাদি অনুষ্ঠান করে ২০১২ সালে আইনটি পাস করি। তবে বলে দিই, এটি কার্যকর হবে ২০১৬ সালে। ২০১৬ সালে এর কার্যকারিতা আরো এক বছর পিছিয়ে দেয়া হলো। কিন্তু তাতেও মনে হয় করদাতাদের আমরা সন্তুষ্ট করতে পারিনি। তিনি বলেন, এবারের বাজেট ঘোষণার পর দেশের সর্বস্তরে এর পক্ষে বিপক্ষে যেভাবে আলোচনা পর্যালোচনা  হয়েছে তা আমার কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে। আমাদের সরকার জনগণের সরকার। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপের ওপর জনগণের মতামত সঠিক পথে চলার নির্দেশনা দেয়। বাজেটে প্রবৃদ্ধিও লক্ষ্যমাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমরা প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি ৭.৪ শতাংশ। এটি অর্জনের বিষয়ে কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেছেন। ২০১৫-১৬ সালে আমাদের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭.০৫ শতাংশ। এর বিপরীতে আমরা ৭.১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিলাম। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমাদের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭.২ শতাংশ। এর বিপরীতে বিবিএস এর সাময়িক হিসাবে আমাদের প্রবৃদ্ধি এসেছে ৭.২৪ শতাংশ। তার মানে হচ্ছে, আমরা বিগত ২ বছর যাবৎ আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছি। এ ধারা সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তির অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসমূহের সামপ্রতিক ইতিবাচক পরিবর্তন আমার এই দাবির স্বপক্ষেই সাক্ষ্য দিচ্ছে। খাত ভিত্তিক প্রবৃদ্ধি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এপ্রিল নাগাদ আমদানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১.৭ শতাংশ এবং একই অর্থবছরের মে নাগাদ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসে ব্যক্তিখাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.২১ শতাংশ, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৫.৫৯ শতাংশ।  প্রবাস আয়প্রবাহ নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বেগের মধ্যে ছিলাম। তবে প্রবাস আয় প্রবাহ সমপ্রতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের মে মাসে আমাদের প্রবাস আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.৩৮ শতাংশ, যা বিগত অর্থবছরে একই সময়ে ৮.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত (মে-২০১৭) তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে মোট ৮ লাখ ৩৭ হাজার প্রবাস নিয়োগ হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ লাখ ২২ হাজার। প্রবাস আয় বৃদ্ধির বিস্তারিত কর্মকৌশল আমি বাজেট বক্তৃতায় বলেছি। আশা করি প্রবাস আয়কে ঘিরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির অনিশ্চয়তা অচিরেই দূর হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবৃদ্ধি নির্দেশক অন্যান্য চলকগুলোর মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উৎপাদন সূচক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষভাবে ম্যানুফেকচারিং ও মাইনিং খাতের উৎপাদন সূচক চলতি অর্থবছরে ডিসেম্বর নাগাদ  ৭.৪১ শতাংশ ও ২.৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি অবগত আছেন, ব্যাংক ব্যবস্থায় সুদের হার ও হার ব্যবধান অব্যাহতভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এতে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়বে। আবার চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে নিট সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০.৭ শতাংশ। মূলত দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকা, নীতি কৌশলগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা ও এগুলোর সুসমন্বিত প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অব্যাহত সরকারি উদ্যোগ ইত্যাদির প্রভাবে ব্যবসায়ী/বিনিয়োগকারীসহ সকল স্তরের জনগণ দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ক্রমেই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন যা ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধির পথকে প্রশস্ত করেছে। তিনি বলেন, অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৬৪.৭২ শতাংশ, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬১.৮৫ শতাংশ। এটি সরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। পাশাপাশি, বিনিময় হার বিগত বছরের জুন মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের জুন মাসে ২.৭ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে যা দেশের রপ্তানি খাতকে উজ্জীবিত করবে। সর্বোপরি স্বস্তিদায়ক বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ, লেনদেন ভারসাম্যে অনুকূল অবস্থান, ক্রমহ্রাসমান মূল্যস্ফীতি, সরকারের প্রাজ্ঞ রাজস্বনীতির পাশাপাশি সহায়ক মুদ্রানীতির অনুসরণ ইত্যাদির  কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রয়েছে। এটি টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য একটি আবশ্যকীয় পূর্বশর্ত। এখানে আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই যে, আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপির ৭.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অর্জনে আমরা মোট বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি  জিডিপির ৩১.৯ শতাংশ যা আমাদের ওহপৎবসবহঃধষ ঈধঢ়রঃধষ ঙঁঃঢ়ঁৎ জধঃরড় (৪.২) বিবেচনায় কাঙ্ক্ষিত মোট বিনিয়োগ ৩১.০৮ শতাংশের চেয়ে বেশি। এসব বিষয় বিবেচনায়, আমার বিশ্বাস আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমাদের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো।
কর্মসংস্থানবিহীন পবৃদ্ধি
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের উচ্চ প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে না মর্মে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে, আমি বাজেট বক্তৃতায় আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ও কৌশল সম্পর্কে বলেছি। একথা সত্য, ২০০৮ সালের বিশ্বমন্দার পর বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানবিহীন প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে এটি আমাদের দেশে পরিলক্ষিত হয়নি। সমপ্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ত্রৈমাসিক শ্রমজরিপ ২০১৫-১৬ প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের বেকারত্বের হার ২০১৩ সালের ৪.৩ শতাংশ হতে ২০১৫-১৬ সালের শেষ প্রান্তিকে ৪.০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা যেকোনো বিচারে উল্লেখ করার মতো। কর্মসংস্থান সঞ্চারি প্রবৃদ্ধি না হলে বেকারত্বের হার কমা সম্ভব হতো না। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখন কাঠামোগত পরিবর্তন হচ্ছে। এজন্য কৃষি হতে শ্রমশক্তি শিল্প ও সেবা খাতে স্থানান্তরিত হচ্ছে।
বিনিয়োগ বৃদ্ধি
উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে সচল রাখার বিষয়ে আমরা বরাবরের মতো এ বাজেটে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছি। বিশেষ করে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এ যাবৎ কালের সর্ববৃহৎ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রস্তাব করেছি। গণ-অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে একদিকে শিল্পায়নের প্রসার ঘটবে। অন্যদিকে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদাও গতিশীল থাকবে। পর্যায়ক্রমে আমরা  শিল্প স্থাপনের বাধাসমূহ দূরীকরণে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এসব পদক্ষেপের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, পিপিপি’র দক্ষ ও গতিশীল আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি, বেসরকারি বিনিয়োগ অর্থায়নে ফান্ড স্থাপন ইত্যাদি প্রণিধানযোগ্য। এ ছাড়া, বিদেশি বিনিয়োগে বাধা অপসারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ইওউঅ) ওয়ান স্টপ সার্ভিসসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমি আশা করি এসব চলমান উদ্যোগসমূহ পরিপূর্ণরূপে বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি সাধিত হবে। আমাদের মনে রাখা দরকার যে, গত বছরে যুদ্ধোত্তর কালে সর্বপ্রথম বিশ্ববাণিজ্যের প্রসারের হারের চেয়ে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার হয়েছে সামান্য বেশি। তাই বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি দু’টি বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে।
সঞ্চয়পত্রের সুদের হার
সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর বিষয়ে বাজেট বক্তৃতায় আমি কোনো প্রস্তাব রাখিনি। আপনি ইতিমধ্যেই জেনেছেন চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র খাত হতে আমাদের নিট ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৬১০ কোটি টাকা যেখানে এপ্রিল, ২০১৭ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৪২ হাজার ৯৮ কোটি টাকা। মূলত ব্যাংক ব্যবস্থায় সুদের হার কমার কারণে সঞ্চয়পত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সঞ্চয়পত্র হতে অধিক ঋণ গ্রহণ করতে হচ্ছে। ফলে সুদ বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সরকারের ব্যয় ব্যবস্থাপনার ওপর একটি বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এই বাস্তবতার বিষয়টি আমি বিভিন্ন ফোরামে উত্থাপন করেছি। একটি বিষয় আমি আপনার মাধ্যমে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই। জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার নির্ধারণের কারণে কোনো পেনশনভোগী, নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত কেউ যাতে উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টি আমাদের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। আপনার মাধ্যমে আরো একটি বিষয় আমি দেশবাসীকে জানাতে চাই যে, অনন্তকালের জন্য সঞ্চয়পত্রের সুদের হার নির্দিষ্ট থাকতে পারে না। সুদের হারের সঙ্গে মূল্যস্ফীতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে, মূল্যস্ফীতি বাড়লে সুদের হার বাড়ে আর মূল্যস্ফীতি কমলে সুদের হার কমে। বিষয়টি তাই আমাদের পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তবে, আমরা চাচ্ছি সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে যে সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে তা যেন সঠিক ব্যক্তিরা পায়। এজন্য আমরা এর একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য-ভাণ্ডার তৈরি করবো যেখানে ক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের তথ্যকে সম্পৃক্ত করা হবে।  পাশাপাশি, আর্থিক বাজারকে আধুনিকীকরণে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে যাতে মানুষ বিনিয়োগের বিকল্প মাধ্যম খুঁজে পায়। এছাড়া, এবারের বাজেটে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনসুরক্ষার বিষয় উল্লেখ করেছি। আপনি জানেন সরকারি কর্মচারীরা পেনশন সুবিধা পেয়ে থাকেন। আমরা পেনশন সুবিধা সর্বস্তরের জনগণের জন্য বিস্তৃত করতে চাই। এ অর্থবছরেই আমরা সার্বজনীন পেনশনের প্রাথমিক কাজ শুরুর পরিকল্পনা করেছি যাতে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী পেনশন সুরক্ষার আওতাভুক্ত হতে পারেন।
উচ্চাভিলাসী লক্ষ্যমাত্রা বনাম বাস্তবায়ন সক্ষমতা বিষয়ক বিতর্ক
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। সক্ষমতা বিবেচনায় বাজেটটি হয়েছে অতি উচ্চাভিলাসী-এরূপ মতামতও ব্যক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিষয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। আমি এসব আলোচনা-সমালোচনাকে সবসময়ই স্বাগত জানাই। ইতিবাচক আলোচনাসমূহ আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়, একইসঙ্গে আরো বাস্তবসম্মত ও সময়ানুগ বাজেট প্রণয়নে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। আপনি লক্ষ্য করবেন আমাদের বিগত বছরগুলোর বাজেটের পরও একই সমালোচনা করা হয়েছে। রূপকল্প অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের বাজেটের আকার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করতে হবে। কাজেই আমাদের বাজেট কিছুটা উচ্চাভিলাসী হবে সেটাই স্বাভাবিক।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসমূহের মূলধন পুনর্ভরণ নিয়ে বিতর্ক
সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। সরকার দেশের বৃহত্তম কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিক। এ ব্যাংকগুলোর কোনো কোনোটিতে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে এবং সেসব বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা হয়েছে। অনেক শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছে এবং বিচারাধীন আছে যা এর আগে কখনো হয়নি। দায়ী ব্যক্তিদের বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো সরকারের বিভিন্ন আদেশ অনুশাসনের ভিত্তিতে জনস্বার্থে বিনা মূল্যে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির সেবা দিয়ে থাকে। দেশের জনগণের সুবিধার্থে বাণিজ্যকভাবে অলাভজনক স্থানে শাখা বিস্তারের মাধ্যমে জনগণের সেবা দেয়। ফলে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মতো এ ব্যাংকগুলো শুধুমাত্র মুনাফার জন্য কাজ করে না। এ ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমে তাই কিছুটা ভিন্নতা আছে। ব্যাংকগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা ও চালু রাখার স্বার্থে অর্থায়নের প্রয়োজন হয়। ব্যাংকগুলোর নির্ধারিত মূলধন ক্রাইসিসের কারণে আন্তর্জাতিক লেনদেনে প্রকট সমস্যা হচ্ছিল। কোনো ব্যাংক মূলধনের অভাবে বন্ধ হয়ে গেলে আমানতকারী জনগণ ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। এ বিবেচনায় জনস্বার্থেই মূলধন পুনর্ভরণ করা হয়েছে। হাওর এলাকায় বিশেষ কোনো বরাদ্দ নেই উল্লেখ করে কোনো কোনো সংসদ এ খাতে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন। আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই যে, সরকারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে চর, হাওর ও পশ্চাদপদ এলাকার স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ২০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
মূল্য সংযোজন কর একটি উত্তম পন্থা
অর্থমন্ত্রী বলেন, কর আরোপ প্রক্রিয়ার মূল্য সংযোজন কর একটি উত্তম পন্থা এ কথা আমি আগেই বলেছি। ১৯৯১ সালে প্রণীত মূল্য সংযোজন কর আইনটি বহু সংশোধনীর পর অফলপ্রসূ হয়ে পড়ায় ২০০৮ সালেই একটি নতুন মূসক আইন প্রণীত হয়। এটি নিয়ে প্রায় চার বছর আমরা নানা আলোচনা বিতর্ক চালিয়ে যাই। অবশেষে ২০১২ সালে আমরা নতুন আইন প্রণয়ন করি যা এই মহান সংসদে পাস হয়। এই আইনটির কার্যকারিতা কিন্তু ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে। এ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিধায় এ বারের বাজেটে আইনটি কার্যকর করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ বিষয়ে মাননীয় সংসদ সদস্যগণ তাদের প্রাজ্ঞ মতামত দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে আমি মূসক আইনের পূর্ণ কার্যকারিতা পিছিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করছি। আগের ধারাবাহিকতায় কিছু সংশোধন করে ২০১২ সালের আইনই যেভাবে গত চার বছর ধরে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে ঠিক তেমনিভাবে আমাদের বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, এই বাজেটটি আমার একাদশতম বাজেট এবং আমি বলেছিলাম যে এটি হবে আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট। বাজেট প্রস্তাব প্রথমে মন্ত্রিসভা পাস করে ১লা জুনে; অতঃপর সেদিনই অপরাহ্নে এই বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ হয়। সুদীর্ঘ আলোচনা ও বিতর্কের পর বাজেটটিকে নানাভাবে সমৃদ্ধশালী ও জনবান্ধব করে আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ও পরামর্শ গ্রহণ করে যেভাবে এইটি প্রস্তাবিত হয়েছে তাতে সত্যিই দাবি করছি যে এটি একটি অত্যুত্তম বাজেট প্রস্তাব, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম বাজেট। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি আমার বক্তব্য এই বলে শেষ করতে চাই যে, বিগত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে অভাবনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার পেছনে রয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী উন্নয়নের দর্শন। তার রচিত উন্নয়নের রূপকল্প দেশের আপামর মানুষের মনে সৃষ্টি করেছে এক অসাধারণ আত্মপ্রত্যয়। উন্নয়নের মহাসড়কে আজ আমাদের দৃপ্ত চারণায় সচকিত বিশ্ববাসী। আমাদের অগ্রগতির এ মহাযজ্ঞে দেশের সকল মানুষই গর্বিত অংশীদার। পরিশেষে আমি একটি কথা বলতে চাই যে, ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থকে তুচ্ছ করে দেশের বৃহত্তর কল্যাণে ত্যাগ স্বীকার না করে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কোনো দেশই উন্নত বিশ্বের কাতারে সামিল হতে পারেনি। দেশকে উন্নত করতে হলে আমাদেরও একই ভাবে ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতির ঊর্ধ্বে ওঠে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনের মাধ্যমে জাতির জনকের স্বপ্ন পূরণে আত্মনিয়োগ করতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা একটি সমৃদ্ধ, উন্নত, সুখী ও শান্তিময় বাংলাদেশ বিনির্মাণে সফল হবোই হবো।
নিজের পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আগামী দুই বছরের জন্য ভ্যাট আইন স্থগিত এবং ব্যাংক আমানতের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্ক তিন স্তরে নামিয়ে আনার জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, বাজেট হচ্ছে জনগণের কল্যাণের জন্য। সেই জনগণের কোনো দুর্ভোগ হোক, কষ্ট হোক আমরা তা চাই না। অর্থমন্ত্রীও চান না। তিনি আরো বলেন, অতীতের মতো আমরা পরনির্ভরশীল হয়ে থাকবো না। বিদেশের কাছ থেকে ভিক্ষা, অনুদান নিয়ে নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট দিয়েছি। আমরা বাজেটের ৯০ ভাগ প্রকল্পই নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি। গতকাল সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বাজেট বাস্তবায়নে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সরকারের ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে না বলে বেসরকারি খাতকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, সরকারের ঋণের যে সীমা, তার মধ্যেই থাকবে। বাড়তি ঋণ সরকার নেবে না, ফলে আর্থিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এটা আমি কথা দিতে পারি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। অতীতেও জিডিপির ৫ ভাগ ঘাটতি ছিল, এবারও তাই থাকবে। একটুকুও বাড়বে না। আর আমাদের বাজেটের সবচেয়ে বড় অর্জনই হচ্ছে আমরা দেশের ধনী-গরিবের বৈষম্য হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছি। সামাজিক নিরাপত্তাকেও আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। নতুন বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার দীর্ঘ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জনগণ ও ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী ভ্যাট আইন স্থগিত এবং ব্যাংকের আমানতের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করলে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা একযোগে টেবিল চাপড়িয়ে তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রায় এক মাস ধরে চলা প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রাণবন্ত আলোচনা শেষ হয়। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটটি পাস করা হবে। সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটকে আরো জনমুখী করতে এবং দেশের মানুষের মধ্যে এ বাজেট নিয়ে যেটুকু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে অর্থমন্ত্রীর কাছে তিনটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখেন। তিনি বলেন, নতুন বাজেটের পাসের জন্য অপেক্ষা না করে চাল আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত শুল্ক ১০ ভাগে নামিয়ে দিয়েছি। তবে দেশে আমাদের খাদ্যের কোনো সমস্যা নেই। তাই যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিনই চাল আমদানি হবে, তার পরে নয়। তাই যেটুকু সময় প্রয়োজন ততদিন চাল আমদানির শুল্ক ১০ ভাগই থাকবে। ব্যাংক সঞ্চয়ী আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক নিয়ে সমালোচনার জবাবে সংসদ নেতা বলেন, আগে ব্যাংকে ২০ হাজার টাকার বেশি থাকলেই আবগারি শুল্ক দিতে হতো। অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে ২০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আমানতের ওপর শুল্ক মাফ করে দিয়েছেন। অথচ মানুষের মধ্যে তা ভুলভাবে বোঝানো হয়েছে। তিনি এক লাখ থেকে এক কোটি টাকা ব্যাংকে সঞ্চয়ী আমানতের ওপর থেকে তিনস্তরে আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেন। প্রস্তাব অনুযায়ী এক লাখ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত দেড়শ’ টাকা, ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত ৮শ’ টাকার পরিবর্তে ৫শ’ টাকা  হবে।
ভ্যাট আইন স্থগিতের সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ভ্যাট আইন প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়। এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী সব মহলের সঙ্গে প্রায় তিন বছর ধরে আলোচনা করেছেন। ২০১২ সালে জাতীয় সংসদে ভ্যাট আইনটি পাস হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা এই ভ্যাট আইনের ব্যাপারে খুব একটা সাড়া দিচ্ছেন না। তাই ভ্যাটের বিষয়টি আগের মতো থাকবে অর্থাৎ আগামী দুই বছর এই ভ্যাট আইন কার্যকর হবে না। হঠাৎ করেই চালের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো খাদ্যের অভাব নেই। সরকার, বেসরকারি, চাল মিলসহ কৃষক পর্যায়ে দেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৮৮ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে অতি বৃষ্টি ও হাওরে অকাল বন্যার পাশাপাশি কিছু ব্যবসায়ীর কারসাজির কারণে চালের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। চাল আমদানির ওপর আরোপিত শুল্ক কমিয়ে দিয়েছি। এ কারণে খুব শিগগিরই চালের দাম কমে যাবে বলে আমি আশাবাদী। কিছু ব্যাংকের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আর্থিকখাতে যেখানে অনিয়ম হয়েছে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা বসে নেই। পুঁজিবাজার নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদের বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের পুঁজিবাজারকে আমরা একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল ও স্বচ্ছ করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শেয়ার বাজারে লেনদেনে কারচুপি বন্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য যে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে, তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। আমরা বসে নেই, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীই এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে। পেছনে পড়ে থাকলে চলবে না। আমাদেরও সবকিছুতে পরিবর্তন আনতে হবে। সেজন্যই এবারের বাজেটে অর্থনৈতিক খাতে বেশকিছু সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে। যাতে আমরা আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি। দেশবাসীকে উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট ও ট্যাক্স যা আদায় হয় তা তো দেশের কল্যাণ ও উন্নয়নেই ব্যয় হয়। সবকিছু চাইবো কিন্তু কিছুই দেব না- এমনটা হলে তো চলবে না। কর না দিলে তো আপনারাই পিছিয়ে পড়বেন। ভিক্ষা নিয়ে কেউ সম্মানের সঙ্গে চলতে পারে না। আমরা চাই দেশের একটি মানুষ গৃহহারা থাকবে না, প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে- সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন দেশের সব মানুষ সুন্দর ও উন্নত জীবন পাবে- তার সেই স্বপ্ন পূরণেই কাজ করে যাচ্ছি। অতীত সরকারগুলোর মতো ক্ষমতাকে ভোগ-বিলাসের বস্তু হিসেবে দেখিনি।  দেশের মানুষ ভালো আছে কিনা সেটিই আমার কাছে সবচেয়ে বড়। আজ প্রধানমন্ত্রী আছি, না থাকলে চলে যাবো। আমি নিজের পায়ে হাঁটতে পারি, রিকশা-ভ্যানে চড়তে পারি- বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে সব অভ্যাসই আমার আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের যেখানেই যাই সবাই বিস্ময় প্রকাশ করেন যে, এতো প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ কিভাবে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও উন্নয়ন করে যাচ্ছে। জবাবে আমি বলি- এটা কোনো ম্যাজিক নয়। আমি রাজনীতিই করি দেশের মানুষের জন্য। যে শিক্ষা আমি আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছি। জনগণের জন্য রাজনীতি করি বলেই দেশ সবদিক থেকে আজ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশের মানুষের চাহিদাই পাল্টে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৮১ সালে পরিবারের সকলকে হারিয়ে যখন দেশে আসি, তখন ঘুরে ঘুরে দেখেছি মানুষের পেটে ভাত ছিল না। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক স্থানেই কঙ্কালসার-হাড্ডিসার মানুষ দুর্ভিক্ষে জর্জরিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গ থেকে মঙ্গা শব্দটিই হারিয়ে গেছে। আমরা নিভৃত গ্রাম পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দিয়েছি। দেশের মানুষের এখন খাদ্যের কোনো অভাব নেই। তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আর ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। বাংলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য বঙ্গবন্ধুসহ আমার পুরো পরিবার জীবন দিয়ে গেছেন। সেই বাংলার মানুষের উন্নত জীবন দিতে একটু ভালো রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি দেশবাসীরও সহযোগিতা চাই। বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপনের জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি নিজেদের পরিবারের সঙ্গে ঈদের উৎসব ত্যাগ করে দেশের জনগণকে আনন্দ উপহার দিতে নিরলস পরিশ্রমের জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।
জঙ্গি দমনে জিরো টলারেন্স নীতি সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ ‘রোল মডেল’
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে। দেশের অগ্রগতি ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বড় ধরনের অন্তরায়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গি দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে জঙ্গি দমনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গতকাল সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর-পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের লিখিত উত্তরে শেখ হাসিনা আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশকিছু সফল অভিযানে শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গ্রেপ্তার ও নিহত হয়। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। হলি আর্টিজানে হামলার পর এ যাবৎ যতগুলো অপারেশন পরিচালিত হয়েছে তার সবগুলো থেকেই জঙ্গিগোষ্ঠী আঘাত হানার পূর্বে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে এবং জঙ্গি আস্তাসমূহ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সংসদ নেতা আরো জানান, জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ প্রো-এ্যাকটিভ পুলিশিংয়ের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অভিযানসমূহ পরিচালনার ফলে বর্তমানে জঙ্গি তৎপরতা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে এবং জঙ্গি দমনে এ সাফল্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ সংক্রান্তে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলেম-ওলামা এবং ইমামদের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া জঙ্গি সংগঠনগুলোর অনলাইনভিত্তিক প্রচারণার দিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নজর রাখছে। এ জাতীয় প্রচারণার মাধ্যমে যাতে জনগণের মধ্যে জঙ্গিবাদী মতাদর্শের র‌্যাডিক্যালাইজেশন না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হওয়ায় ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় এ পর্যন্ত ৭টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ এবং জঙ্গিবাদের অর্থায়নে জড়িতদের কার্যকরভাবে দমনের লক্ষ্যে সরকার সন্ত্রাস বিরোধী আইন/২০০৯ (সংশোধনী/১৩) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন/২০১২ প্রণয়ন করেছে। সরকারের আন্তরিকতা এবং বর্ণিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দমনে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণে প্রারম্ভ রেখা অতিক্রম: সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জানান, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণ ও স্থিতিশীল হতে হলে জাতিসংঘ তিনটি সূচক বিবেচনা করে থাকে। এ সূচকসমূহ হলো- (১) মাথাপিছু জাতীয় আয়, (২) মানবসম্পদ উন্নয়ন ও (৩) অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মাথাপিছু জাতীয় আয় এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ দুটি সূচকে প্রারম্ভ রেখা অতিক্রম করেছে। অন্য সূচকটিতে বাংলাদেশ প্রারম্ভ রেখার বেশ কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। এ সূচকসমূহের নির্ধারিত মান বজায় রাখার জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাসহ আর্থ-সামাজিক নীতি-কৌশল বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। তিনি জানান, বর্তমানে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০১৬-২০২০ এর মাধ্যমে সরকার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিকল্পনার মেয়াদে গড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ, দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ, অতি দারিদ্র্যের হার ৮ দশমিক ৯ শতাংশে হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহ এবং তা মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা বিবৃত হয়েছে।
চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য  রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা জানান, গত বছরের ১৪-১৫ই অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট মিঃ শি জিনপিং-এর বাংলাদেশ সফর ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ সফর চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গভীর ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি জানান, গত চার দশক ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও যোগাযোগ অবকাঠামো বিনির্মাণে চীনের ভূমিকা অত্যন্ত ইতিবাচক। তিনি জানান, ৫০-এর দশকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কে যে ঐতিহাসিক ভিত রচনা হয়েছিল বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর তা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ২০১০ ও ২০১৪ সালে আমার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের চীন সফরের মাধ্যমে সেই সম্পর্ক একটি মৌলিক, সমন্বিত এবং দূরদর্শী রূপ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে চীনের প্রেসিডেন্ট দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন। তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সফর দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বন্ধুত্ব সম্প্রসারণের ক্ষেত্র তৈরি করেছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন পথ খুলে দিয়েছে। এ সফর বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের স্মারক এবং দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে এক ঐতিহাসিক নবযাত্রার সূচনা করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com