ইন্দোনেশিয়ার ওয়েস্ট পাপুয়া প্রদেশের একটি গ্রামে কুমিরের আক্রমণে নিহত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এই হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ওই গ্রামের ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা তিনশ কুমিরকে মেরে ফেলেছে। ১৪ জুলাই এই ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি, রয়টার্স।
গ্রামবাসীরা মনে করে এই অভয়ারণ্য থেকে বেরিয়ে গিয়ে কোনও একটি কুমির তাদের গ্রামের একজন লোককে হত্যা করেছে। এর প্রতিশোধ নিতেই এসব কুমিরকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ ও কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রামবাসীদের হামলা থেকে এসব কুমিরকে বাঁচাতে তারা কিছুই করতে পারেননি। যারা এর সাথে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার আইনে কুমিরের মতো সংরক্ষিত প্রাণী হত্যা করা অপরাধ এবং এজন্যে শাস্তি হিসেবে জরিমানা অথবা কারাদণ্ড হতে পারে।
পুলিশ বলছে, শুক্রবার সকালে কুমিরের ওই খামার থেকে স্থানীয় একজন গ্রামবাসী যখন শাক-সবজি সংগ্রহ করছিল, তখন সেখানকার একটি কুমিরের আক্রমণে তিনি প্রাণ হারান।
ইন্দোনেশিয়ায় ওয়েস্ট পাপুয়া প্রদেশের ন্যাচরাল রিসোর্সেস কনজারভেশন এজেন্সির প্রধান বলেন, খামারের একজন কর্মী শুনতে পান যে কেউ একজন সাহায্যের জন্যে চিৎকার করছে। তখন তিনি খুব দ্রুত সেখানে ছুটে যান এবং দেখতে পান যে একটি কুমির একজনকে আক্রমণ করেছে।
শনিবার নিহত গ্রামবাসীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। তারপর কয়েকশ ক্রুদ্ধ গ্রামবাসী ওই অভয়ারণ্যের দিকে ছুটে যায়।
কুমিরের খামারের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম লিখেছে, উত্তেজিত জনতা প্রথমে খামারের অফিসে হামলা চালায়। তারপর তারা অভয়ারণ্যের ২৯২টি কুমিরকে হত্যা করে। এই খামারটিতে নিউ গিনি ও নোনা পানির কুমিরের চাষ হচ্ছিল।