ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলা হয় গেমচেঞ্জার, আসলে তিনি নেমচেঞ্জার। খবর আনন্দবাজার।
তিনি তার লেখা ‘দ্য প্যারাডক্সিক্যাল প্রাইম মিনিস্টার, নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড হিজ ইন্ডিয়া’ বইতে একথা বলেন। শনিবার দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে বইটির মোড়ক উন্মোচন হয়।
প্যারাডক্স শব্দটির অর্থ হলো আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব বা স্ববিরোধী মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সত্য কথা। বইটিতে মোদিকে নিয়ে এরই নানা উদাহরণ উল্লেখ করা হয়েছে।
৫০৪ পৃষ্ঠার বইটিতে বলা হয়েছে, যোজনা কমিশন থেকে নীতি আয়োগ আর এলাহাবাদ থেকে প্রয়াগ রাজ হয়েছে। মৃতের শরীরে আতর ছড়ালে কি জীবিত হয়? আসলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি যা বলেন, তা করেন না।
বইটিতে আরও বলা হয়েছে, মোদির মধ্যে নেপোলিয়নের মতো ক্ষমতালিপ্সা আছে। তিনি বলেছিলেন সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। কিন্তু বাস্তবতা হলো বড়লোক আরও বড়লোক এবং গরিব আরও গরিব হচ্ছে।
মোদি বলেছিলেন সংবিধান তার কাছে পবিত্র গ্রন্থ কিন্তু বাস্তবে মহাত্মা গান্ধী-পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু-ভীমরাও অম্বেদকরের তিল তিল করে গড়া সাংবিধানিক সংস্থাগুলো গত চার বছরে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এতে।
বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন মোদি। কিন্তু তার সরকার ভোটারদের দেয়া কথা রাখেনি। মোদি জনতার প্রধানমন্ত্রী হতে চান অথচ সাম্প্রদায়িক হিংসা, গোরক্ষকদের তাণ্ডব, গণপিটুনিতে খুন দেখেও নিরব থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার পরিবেশের অবনতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মনমোহন।
বিজেপির নেতারা বইটির বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। দলটির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, শশী কংগ্রেসের সাংসদ। তিনি নিরপেক্ষ নন। তিনি গ্লাসে রাখা অর্ধেক জল দেখে মন্তব্য করছেন, পুরো গ্লাসটা দেখছেন না।