বাংলাদেশে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব এমন একদল ‘ডাকাত’ আটক করেছে যাদের বিরুদ্ধে অভিনব কায়দায় মানুষের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার অভিযোগন উঠেছে। উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকাতেই ছিল এই ডাকাত দলের বিচরণ। আজ দুপুরে অভিযান চালিয়ে এই ডাকাত দলের নয় সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। আটকের পর গণমাধ্যম কর্মীদের র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, দিয়াবাড়ি এলাকাটি বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে কাশফুলে আচ্ছাদিত থাকে। ঢাকার অনেক বাসিন্দা বিকেলে সেখানে ঘুরতে যায়। এছাড়া জায়টিতে বিভিন্ন নাটকের শুটিংও হয়। এরই সুযোগ নেয় ডাকাত দল।

তিনি বলেন, চারটি উপায়ে মানুষের কাছে থেকে টাকা-পয়সা ও মালামাল ছিনিয়ে নিতো এরা দিয়াবাড়ি এলাকায় যারা ঘুরতো যেত তারা ছিল এদের প্রধান টার্গেট।এছাড়া যারা আশুলিয়া থেকে দিয়াবাড়ি হয়ে উত্তরায় আসে তারাও ছিল ডাকাতদের টার্গেটে। সাধারণত এ পথে যারা যাতায়াত করে তাদের অনেককে বলা হয় সামনে রাস্তা খারাপ আছে, বিকল্প পথ দিয়ে যান। এ কথা বলে ডাকাত দল তাদের নির্জন রাস্তা দেখিয়ে দেয়। এভাবে নির্জন পথে নিয়ে গাড়ির যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়।

তিনি আরও বলেন, যখন গভীর রাতে এ পথে গাড়ি চলাচল করে তখন চলন্ত গাড়ির পেছনে ডাকাতদল লোহা ছুঁড়ে মারে। ড্রাইভাররা গাড়ি থামালেই তারা চাপাতি দিয়ে ড্রাইভারকে কোপ দিয়ে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া গাড়ির কাঁচে ডিম ছুঁড়েও ডাকাতি করে তারা। মি. কাশেম বলেন, গাড়ির গ্লাসে ডিম মারলে গ্লাসটা ঘোলা হয়ে যায়। ফলে ড্রাইভার যখন গাড়ি থামায়, তখন তারা চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হতাহত করে টাকা নিয়ে নেয়।

অভিনব উপায়ে এসব ডাকাতির প্রচুর অভিযোগ জমা হয়েছিল র‌্যাবের কাছে। এরপর থেকে ডাকাতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে র‌্যাব। সারেয়ার বিন কাশেম বলেন, ডাকাতির সাথে দুই-তিনটি দল জড়িত আছে এবং প্রতিটি দলে সদস্য সংখ্যা ১০-১২ জন। এদের মধ্যে একটি দলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র‌্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, আটককৃত দিনের বেলায় বিভিন্ন দোকানে টুকিটাকি কাজ করে ছদ্মবেশ ধারণ কলে। আর সন্ধ্যার পর ডাকাতি করে। পরিচয় গোপন রাখার জন্যই দিনের আলোতে তারা নিজেদের শ্রমজীবী হিসেবে উপস্থাপন করে। রাতের বেলায় তারা গোপন মোবাইলের মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে একত্রিত হয়ে এ কাজগুলো করে।