সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি দে ও তার তিন সহযোগীকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ আটক করেছে র‍্যাব-৯।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় জানানো হয়, সিলটের কোতয়ালী থানা এলাকা থেকে ১টি বিদেশি রিভলবার, ২ রাউন্ড গুলি ও বিপুল ইয়াবাসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী পীযূষ কান্তি দেকে তার তিন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- বাপ্পা পাল ও মিন্টু রায়। অপর একজনের নাম জানা যায়নি।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মির্জাজাঙ্গালে পীযূষের আস্তানা ঘেরাও করে ফেলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। এরপর ভেতর থেকে পীযূষসহ চারজনকে ধরে গাড়িতে করে নিয়ে যায় তারা।
জানা যায়, পীযূষ কান্তি দে’র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মারধরসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
নগরীর জিন্দাবাজার-লামাবাজার সড়কের মির্জাজাঙ্গালে ‘আস্তানা’ গড়ে তুলে তিনি এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি তিন প্রবাসীকে পীযূষ অনুসারীরা মারধর করে। এনিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। গত ৬ আগস্ট জিন্দাবাজারে পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টের সামনে তিন প্রবাসীর উপর হামলা চালায় পীযূষ অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে গুরুতর আহত হন তারা। এ সময় তাদের প্রাইভেটকারও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ৭ আগস্ট আহতদের চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার পর থেকে নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নেন পীযূষ। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের আস্তানায়ও অনেকদিন অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। বুধবার ফের আস্তানায় ফিরেই আটক হন পীযূষ।