নজরদারির অভাবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের নামে প্রতি বছর অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। নীতিমালা না থাকায় সরকার এ খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
গবষেণার তথ্য বলছে, গত এক বছরে শুধু গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক, ফেসবুক ও ইউটিউবে ৪৩৫ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে। অথচ বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে গত ৫ বছরে বিল পরিশোধ করেছে মাত্র ১৩৫ কোটি টাকা। সমস্যা সমাধানে রাজস্ব বোর্ডের সক্ষমতা বাড়ানো ও দেশে গুগল-ফেসবুকের কার্যালয় স্থাপনের পরামর্শ দয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিশুদের জন্য টিউটর খোঁজা থেকে শুরু করে নিত্যবাজার এমনকি চুল কাটানো, লন্ড্রি সেবা, অটোরিকশা বা বাইকের খোঁজ খবরও আছে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের কাতারে। ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা অনলাইনের যে-কোনো প্ল্যাটফর্মে ঢুঁ মারলে, চোখে পড়বে এসব বিজ্ঞাপন।
পণ্যের প্রসারে পত্রিকা ও টেলিভিশনের পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমকে বেছে নিচ্ছে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। বিভিন্ন গবেষণার তথ্য বলছে, বাংলাদেশের ভোক্তাদের লক্ষ্য করে ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে বছরে কমপক্ষে দুই হাজার কোটি টাকার। অথচ বাংলাদেশ থেকে গত পাঁচ বছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ফেসবুক আর গুগলের অ্যাকাউন্টে গেছে মাত্র ১৩৫ কোটি টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরিচালক (অনলাইন ভ্যাট) রেজাউল হাসান জানান, ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়া ও নীতিমালা এখনও পুরোপুরো প্রস্তুত নয়। তাই বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি অগ্রসর হওয়া যাচ্ছে না।