ক্রিকেটে ম্যাচ গড়াপেটায় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দুর্নাম আছে। এ নিয়ে নতুন বোমা ফাটালেন শোয়েব আখতার। পাকিস্তানের সাবেক এই স্পিডস্টার একটি ইউটিউব শো’তে বলেন, ‘নিজের প্রতি সবসময় বিশ্বাস ছিল যে আমি কখনো পাকিস্তানের সঙ্গে বেঈমানী করতে পারি না। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়াতে পারি না। আমি ২২ জনের (আসলে ২১ জন) বিরুদ্ধে খেলেছি। প্রতিপক্ষের ১১ আর আমাদের ১০। আমাদের এরা জানতো ম্যাচ ফিক্সার কে। অনেক অনেক ম্যাচ ফিক্সিং হয়েছে।
মোহাম্মদ আসিফ আমাকে বলেছিলেন কোন কোন ম্যাচ পাতানো হয়েছে এবং কীভাবে পাতানো হয়েছে।’
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং করে নিষিদ্ধ হন পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির, সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফ। আমির-আসিফের মতো প্রতিভাবান পেসার ফিক্সিংয়ে জড়ানোয় আফসোস হয় শোয়েবের। তিনি বলেন, ‘আমি আমির-আসিফকে বোঝানোর চেষ্টা করতাম। প্রতিভার কী অপচয়! যখন তাদের ফিক্সিংয়ে জড়ানোর খবর শুনেছিলাম এতটাই আপসেট পড়ে পড়ি যে দেয়ালে ঘুষি মারি। পাকিস্তানের প্রতিভাধর সেরা দুই পেসার নষ্ট হয়ে গেলো। তারা টাকার কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিলো।’
এদের মধ্যে কেবল বাঁহাতি আমির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পেরেছেন। তবে শুরুতে যে ধার ছিল তার বলে সেটি অনেকটাই হারিয়ে গেছে। টেস্টে ছন্দে না থাকায় ‘দ্বিতীয় ওয়াসিম’ খেতাব পাওয়া আমির বিশ্বকাপের পরপরই লংগার ভার্সন থেকে অবসর নেন।
ফিক্সিংয়ের কারণে শেষ হয়ে গেছে সফল লেগস্পিনার দানিশ কানেরিয়ার ক্যারিয়ার। আগের প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে সেলিম মালিক ও আতাউর রহমান আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হন। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবশেষ ফিক্সিংয়ে জড়ান ওপেনার শারজিল খান, খালিদ লতিফ, মোহাম্মদ ইরফান, মোহাম্মদ নাওয়াজ ও নাসির জামশেদ। ২০১৭ সালে পাকিস্তান সুপার লীগে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা পান শারজিল।