অসাধারন দুটি ফ্রি-কিক। অধিনায়কের জাদুকরী পারফরম্যান্সে সেল্টা ভিগোকে হারিয়ে লা লিগায় শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে বার্সেলোনা। ন্যু ক্যাম্পে শনিবার রাতে ৪-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। মেসির হ্যাটট্রিকের পর তাদের অন্য গোলটি সার্জিও বুসকেটস।
স্পেনের শীর্ষ লিগে মেসির এটি ৩৪তম হ্যাটট্রিক। ২০০৯ সালে রিয়ালে যোগ দিয়ে ক্লাবটিতে ৯ বছরের ক্যারিয়ারে সমান সংখ্যক হ্যাটট্রিকে রেকর্ডটি গড়েছিলেন রোনালদো। সব প্রতিযোগিতা মিলে দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল কাতালানরা।
লা লিগায় আগের ম্যাচেই দারুণ এক জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। শীর্ষস্থান থেকে তাদের নামিয়ে জায়গা দখল করতে মাত্র কয়েক ঘণ্টাই সময় নিয়েছে কাতালানরা।
১২ ম্যাচ খেলে দুই দলের পয়েন্টই সমান (২৫)। তবে গোলের হিসেবে বার্সেলোনা এগিয়ে।
টানা দুই ম্যাচ জয়শূন্য থেকে খেলতে নামা বার্সেলোনার ম্যাচের শুরুটা ছিল অগোছালো। তবে ২৩তম মিনিটে লিওনেল মেসির সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় তারা। জুনিয়র ফিরপোর ক্রস সেল্টা ভিগোর ডি-বক্সে তাদের ডিফেন্ডার জোসেফ আইডুর হাতে লাগলে পেনাল্টিটি পায় স্বাগতিকরা।
৪০তম মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার পাপ ইয়াপকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন মেসি। আর অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে ম্যাচে সমতা টানেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার লুকাস।
সেল্টা ভিগোকে সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য স্থায়ী হয়নি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে আরেকটি চোখধাঁধানো ফ্রি-কিকে আবারও দলকে এগিয়ে নেন মেসি। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে আবারও মেসি জাদু, আরেকটি চমৎকার ফ্রি-কিক। আগেরটির মতো ঠিক একইভাবে রক্ষণ প্রাচীরের ওপর দিয়ে ডান পাশের ওপরের কোনা দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন তারকা।
এবছরের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার এই নিয়ে চলতি লীগে আট গোল করলেন। মৌসুমে তার মোট গোল হলো ৯টি। ৮৫তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-১ করে জয় নিশ্চিত করেন বুসকেতস। বাঁ দিক থেকে দেম্বেলের বাড়ানো ক্রস ডিফেন্ডার দাভিদ ইয়ুনকা হেডে ফেরানোর চেষ্টা করলে ডি-বক্সের মুখে পেয়ে যান বুসকেটস। প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে কাছের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার।