টিভি নাটকের পাশাপাশি বর্তমানে চলচ্চিত্রেও ব্যস্ত সময় পার করছেন সজল। নতুন বছরের ভালোবাসা দিবসে বড় পর্দায় মুক্তি পাবে তার অভিনীত ‘জ্বীন’ শিরোনামের একটি চলচ্চিত্র। এতে সজলকে একজন ফ্যাশন ফটোগ্রাফারের চরিত্রে দেখা যাবে। ছবিটিতে তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা চেরী। ছবিটি নির্মাণ করছেন নাদের চৌধুরী। এরইমধ্যে এটির শুটিং শেষ হয়েছে। সজল বলেন, চার বছর পর এই ছবির মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় ফিরছি। ভিন্ন রকম একটি গল্পের ছবি পাবে দর্শক।

ছবির নির্মাতার সঙ্গে ছোট পর্দায় কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তবে তার সঙ্গে নির্মাতা হিসেবে এটি প্রথম কাজ। নির্মাতা এবং অভিনেতা হিসেবে তিনি অনেক গুণী। তার সঙ্গে এবার কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। এদিকে সজলের হাতে আরো আছে ‘হারজিৎ’ শিরোনামের একটি চলচ্চিত্র। এতে তার বিপরীতে আছেন মাহি। ছবিটির নির্মাতা বদিউল আলম খোকন। তবে মাঝপথে দীর্ঘদিন ছবিটির শুটিং বন্ধ আছে। চলচ্চিত্র নিয়ে সজলের পরিকল্পনা কি? তিনি বলেন, চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করবো। কিন্তু সব ধরনের গল্পে না।

আমার মনের মতো ও দর্শকের মনে দাগ কাটার মতো যদি গল্প পাই তাহলে আপত্তি নেই। আমাদের চলচ্চিত্র এখন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরে চলচ্চিত্রের আরো পরিবর্তন হবে আশা করছি। একই সঙ্গে চলচ্চিত্রের বাজারও চাঙ্গা হবে। ‘রানআউট’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সজলের অভিষেক হয় বড় পর্দায়। তন্ময় তানসেনের পরিচালনায় এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন মৌসুমী নাগ ও রোমানা স্বর্ণা। এটি মুক্তি পায় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করছেন এ অভিনেতা। দুই মাস আগে ‘পাফড্যাডি’ নামের একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং শুরু করেছেন বলে জানান তিনি।

এতে তার সঙ্গে আছেন পরীমনি। সজল বলেন, প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছি। সবার জন্য নতুন বছরে এটিও একটি চমক। অন্য রকম একটি গল্পে কাজ করছি। তবে এ নিয়ে এখন বিশেষ কিছু বলতে চাই না। সিনেমাতে পাওয়া গেলেও নাটকে এখন কম দেখা যায় সজলকে। গেল বছরের শুরুতে নাটকের শুটিং নিয়ে তার ছিল ক্লান্তিহীন ছুটে চলা। আজ উত্তরা তো কাল পূবাইল- এভাবেই কাটতো মাসের বেশিরভাগ সময়। এখন সে ব্যস্ততায় যেন ছেদ পড়েছে। গত দুই ঈদ উৎসবে তাকে ছোট পর্দায় সেভাবে পাওয়া যায়নি। তবে কি ছোট পর্দাকে সজল বিদায় জানিয়েছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগের চেয়ে কাজ কমিয়ে দিয়েছি। ছবির কাজে কয়েক মাস ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। গত ঈদ উৎসবে তাই দর্শক আমাকে নাটকে কম দেখেছেন।

কিন্তু ভালো গল্পের নাটক কিংবা টেলিছবির কাজ ছাড়িনি। এদিকে সম্প্রতি একটি মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন এ অভিনেতা। ‘অলিগলি, মাঠে-ঘাটে উড়ছে রঙের ফানুস/ছক্কা চারে মাতোয়ারা ছুটছে হাজার মানুষ/বুঝে সবাই হবে লড়াই চলবে এবার’-এমন কথায় বঙ্গবন্ধু বিপিএল টুর্নামেন্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে একটি গানের ভিডিও। ঢাকা প্লাটুনের এই থিম সংয়ে সজলের পারফরমেন্স নজর কেড়েছে অনেকের। আর এটি নিয়ে এ অভিনেতার উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই গানের মাধ্যমে বিদায়ী বছরের শেষদিকে যেন নতুনভাবে হাজির হয়েছি। দর্শক অন্য এক সজলের দেখা পেয়েছেন। ১৫ বছর পর এ ধরনের একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করলাম। বিপিএলের মতো ক্রিকেট উৎসবে সবাইকে একটু হলেও মাতোয়ারা করতে পেরেছি। এটাই বড় ভালোলাগার বিষয়। প্রসঙ্গত, সজল শোবিজে যাত্রা শুরু করেন ২০০১ সালে। ২০০৪ সালে প্রথম নাটকে অভিনয় করেন তিনি। খ্যাতিমান অভিনেতা-নির্মাতা আফজাল হোসেনের হাত ধরেই তার নাটকে পথচলা শুরু হয়।