রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ‘অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২০’। উৎসব চলবে ১৯শে জানুয়ারি পর্যন্ত। গতকাল দুপুরে ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ারপারসন কিশওয়ার কামাল, উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল, উৎসব কমিটির নির্বাহী সদস্য মফিদুল হক, ম. হামিদ, ড. নাজমুল এ কলিমুল্লাহ, উৎসবের প্রধান প্রোগ্রামার ইরানি নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সংগঠক জোহরে জামানি, চলচ্চিত্র নির্মাতা নারগিস আক্তারসহ অনেকে। উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, বরাবরের মতোই এবারের উৎসবেও এশিয়ান ফিল্ম প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন ফিল্মস্, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম মেকার সেকশনে ৭৪টি দেশের ২২৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং সভাপতিত্ব করবেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আরো জানানো হয়, উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে আগামীকাল দেখানো হবে স্পেন ও গ্রিসের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘উইন্ডো টু দ্যা সি’ সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল জিমেনেজ।
তিনি উৎসবে উপস্থিত থাকবেন এবং এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগে জুরির দায়িত্ব পালন করবেন। উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর স্থানসমূহ হচ্ছে- জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন, কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, নৃত্যশালা মিলনায়তন, অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়তন, মধুমিতা সিনেমা হল ও স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি ও সীমান্ত স্কয়ার। উৎসবের ২২০টির মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য (৭০ মিনিটের বেশি) চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১১৭টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১০৩টি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আছে ২৬টি যার মধ্যে ১৮টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন এবং ৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য।