ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত চার জন আহত হয়েছেন। আহতরা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে রুহিয়া চৌরাস্তায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার।
জানা যায়, রুহিয়া থানা আহ্বায়ক আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত রুহিয়া থানার ছয়টি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়। এই কমিটিতে যারা পদ পাননি তারা ক্ষুদ্ধতা প্রকাশ করেন এবং কমিটিকে অবৈধ কমিটি বলে আখ্যায়িত করেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
এ দিকে থানার ২০ নং রুহিয়া ইউনিয়নের সভাপতি ফেসবুকে নিজের পদত্যাগের বিষয়ে স্ট্যাটাস দেন। পরবর্তীতে রাত দুইটায় ছাত্রলীগে নেতা হেলাল উদ্দীন ও সবুজ ইসলাম রুহিয়া চৌরাস্তায় এলে ওই স্ট্যাটাস পদবঞ্চীতরা জোর পূর্বক দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। এ সময় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে।
এ সংঘর্ষে কমিটির পদধারী হযরত আলী ও পদবঞ্চীত মানিক ইসলাম, রবিউর ইসলাম ও মিঠুন গুরুত জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শহরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে রুহিয়া থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফ হোসেনের কাছে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার বলেন, রুহিয়া থানায় যে ছায়টি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা আমাদের কোন লিখিত অনুমতি নাই। তবে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির মৌখিক ইন্দন রয়েছে। তারা ব্যক্তিগত ভাবে সভাপতির সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করে আসছিল। যেহেতু আমাদের কোন লিখিত অভিযোগ নাই সেহেতু কমিটিগুলো অবৈধ। ছাত্রলীগের মধ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত। আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা চার মাস আগে লিখিত ভাবে জানিয়েছি যে জেলা ছাত্রলীগের অনুমতি ছাড়া যেন কোন কমিটি ঘোষণা করা না হয়। আমরা লিখিত কাগজে বিশ্বাসী এবং ইন্ধনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
রুহিয়া থানার ওসি তদন্ত মো: শহিদুর রহমান জানান, সংঘর্ষের বিষয়ে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।