কী কেলেঙ্কারি! আস্ত একটা প্রবাদ-বচনকে দুয়ো দিয়ে দিলেন টালিপাড়ার দুই নায়িকা! যে কান্ডটা ঘটালেন শুভশ্রী আর পায়েল, এরপর বাংলার প্রবাদ বচন-টচনের ওপর আর কেউ ভরসা-টরসা রাখবে? ওই যে কথায় বলে না- যদি হও সুজন, এক কাপড়ে দুজন, কিন্তু সে কথা মেয়েরা বুঝলে তো? ছেলে থেকে শুরু করে কাপড়- সব কিছু নিয়েই কী টানাটানি! কোথায় ‘আমে দুধে মিশে গেল, আঁটি গড়াগড়ি খেল’ কেস হবে, তা নয়, খালি ঝগড়া!
আম-দুধ-আঁটি আর কাপড়ের রহস্যটা ঠিক কী, এখনও ঠাহর হল না তো? আসলে এই গল্পের ফ্ল্যাশব্যাকে দুই নায়িকার সঙ্গে ছিলেন এক নামজাদা নায়কও। সুপারস্টার, থুড়ি শুধু সুপারস্টার নয়, এখন তো সাংসদও বটে! তাকে ঘিরেই তো দুই নায়িকার বন্ধুত্বে ঘনিয়েছিল থমথমে কালো মেঘ। তা, সেই দেবতুল্য নায়কটি তো একদা দুজনেরই ‘ভালো বন্ধু’ ছিলেন! এখন না-হয় ওদের মধ্যে ‘তার ছিঁড়ে গেছে কবে’ হয়ে গেছে! তাহলে তো বচন-মাফিক পায়েল-শুভশ্রীর মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবার কথা! তাই তো? কিন্তু সে গুড়ে বালি! দেখা গেল, এক খোকা পালালেও অন্য খোকাকে আর সে সব সুযোগ দিলেন না মেয়েরা। আর কাপড়? আহা, বলছি তো খুলে!
তাহলে ঝেড়েই কাশি। এতদিন পায়েল আর শুভশ্রীর কস্টিউম ডিজাইনার ছিল কমন। স্যান্ডি। যে-ই যখন কোনো পার্টিতে যেতেন বা প্রিমিয়ারে, স্যান্ডি দুজনকেই ড্রেস সাপ্লাই করত। সেইসব ড্রেস পরে ‘এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায় দেখ’ করে কয়েকটা পার্টিতে পায়েল-শুভশ্রী হাজিরাও দিয়েছেন। কিন্তু এক ঘাটে কি দুটো বাঘ জল খেতে পারে! থাবা তো বসাবেই!
হলোও তা-ই! শুভশ্রী ভাবলেন, পায়েলেরটা বুঝি বেশি ভালো! আর পায়েল ভাবলেন, শুভশ্রীরটাই বুঝি বেস্ট! ব্যস! স্যান্ডিকে নিয়ে দুই নায়িকার ভেতর শুরু হল চুলোচুলি! মন কষাকষি। একেবারে ‘কাপড়’ ধরে টানাটানি যাকে বলে! ছ্যা ছ্যা! স্যান্ডির ওদিকে চিঁড়ে চ্যাপ্টা অবস্থা। শ্যাম রাখি না কুল রাখি! অবশ্য স্যান্ডিকে সেসব মাথার চুল ছিঁড়ে ঠিক করতে হয়নি! শুভশ্রীই কায়দা করে পায়েল-এর ওয়ার্ড্রোব থেকে ছোঁ মেরে স্যান্ডিকে নিজের কব্জায় করে নিয়েছেন। তেমনটাই অন্তত বলছেন টলিপাড়ার নিন্দুকেরা। ব্যস! আর যায় কোথায়! পায়েলও সঙ্গে সঙ্গে শুভশ্রীর দিকে কড়ে আঙুল তুলে গড় গড় করে বলে দিয়েছেন, ‘আড়ি আড়ি আড়ি, কাল যাব বাড়ি, পরশু যাব ঘর, হনুমানের ল্যাজ ধরে টানাটানি কর’! দেখেছেন কান্ডটা?-ওয়েবসাইট।