নারায়নগঞ্জে টাকার জন্য অপহরণ করে খুনের আরো নতুন নতুন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে র্যাব ১১ এর অভিযুক্ত সাবেক ৩ র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল ও তাজুল ইসলামকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ঠিক ৬ মাস আগে। মাস খানেক পর তাজুলের হাত পা বাঁধা লাশ মেঘনা নদীতে পাওয়া গেলেও ইসমাইলের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা অজানা আজো পরিবার পরিজনদের কাছে।
বহু জল্পনা কল্পনার পর সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় র্যাব ১১ এর সাবেক ৩ কর্মকর্তাকে। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাদের। এরই মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতা ঈসমাইল হোসেনের এর পরিবারের অভিযোগ, র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পা থেকে কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা তার। র্যাব ১১ এর কার্যালয়ে ধর্না দিয়েছেন স্বজনরাও।
ইসমাইলের ছেলে ইমরান বলেন, ‘বাবাকে ধরে যে গাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয় সেটাতে র্যাব ১১ লেখা ছিল। গাড়ীটা র্যাব ১১ এর ভিতরে আছে। আর তারা র্যাবের পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে। আর ঐ জায়গায় নার্সারির লোক আশিক চিনতে পেরেছে যে তারা র্যাবের লোক। আব্বুর সাথে হিরণ কাকাও ছিল, বাবার বন্ধু তিনি, তিনিও দেখেছেন র্যাবের লোককে ধরে নিয়ে যেতে’।
ইসমাইলের ছেলে ইমরান আরো বলেন, ‘চাচা ও আম্মু র্যাবের সিইওর সাথে দেখা করেছেন। সেখানে সিইও আরিফ সাবকে দিয়ে টাকার অফার করে। বলে যে, ২ কোটি টাকা দিলে আব্বুকে ছাইড়া দিবো, আর এটা ফ্ল্যাশ করলে আব্বুকে আর পাইবোনা’।
অপহরণের পর খুনের শিকার আরেক ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম। পাওনা টাকা আদায় করে দেয়ার নামে গেল বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাড়ি ফেরার পথে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় র্যাব ১১ এর কার্যালয়ে। তাজুলের বাবার অভিযোগ, ‘কোন রকম তথ্য প্রমাণ ছাড়াই জোর করে চেক লিখে নেয়া হয় তাজুলের কাছ থেকে। ঐ চেক উত্তোলনের জন্য যখন আমরা মামলা করি, তখন আবার অপহরণ করে একদম নিঁখোজ করে দেয়। তারা বলে, ডকুমেন্ট টকুমেন্ট বুঝিনা। বেশি কথা কইলে দেখনা ঐযে ২জন বাইন্ধা ফালাইয়া রাখছি। বেশি কথা কইলে কইলাম এইরাম কইরা বাইন্ধা ফালাইয়া রাখমু’।
ভূক্তভোগীরা বলছেন, নীরব চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের আরো এমন অনেক অভিযোগ চাপা পড়ে আছে ঢাকার উপকন্ঠের এই ছোট্র নগরীতে। সাত খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে গুম-খুন ও সন্ত্রাস কমে আসার পাশাপাশি হয়তো সেই চাপা পড়া অভিযোগগুলো আলোর মুখ দেখবে বলে মনে করছে নারায়নগঞ্জবাসী। যমুনা নিউজ