জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি এম ইনায়েতুল রহিমের নেতৃত্বধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করবেন। সোমবার এ রায়ের দিন ধার্য করা হয়। এ রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ট্রাইব্যুনাল এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। ট্রাইব্যুনালকে মূল কেন্দ্র ধরে আশপাশের এলাকায় পুলিশ-র‌্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তাবলয়। এছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকেই মূল প্রবেশপথে অবস্থান করবে র‌্যাব ও পুলিশের ‘সোয়াত ইউনিট’-এর সদস্যরা। সোমবার দিবাগত রাত থেকেই হাইকোর্টের আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। পাশাপাশি বসানো হয় চেকপোস্ট। আদালত চত্বরের প্রতিটি পয়েন্টে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। এদিকে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে শিক্ষা ভবন সড়ক, দোয়েল চত্বরসংলগ্ন সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। এসব সড়ক দিয়ে পথচারী ছাড়া কোনো ধরনের যান চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাউকে সন্দেহ হলে তার পরিচয়পত্র দেখছেন। এছাড়াও সন্দেহভাজনদের ব্যাগ তল্লাশী করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। এছাড়াও র‌্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। মহানগর পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) শেখ মারুফ হাসান জানান, মতিউর রহমান নিজামীর রায়কে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আদালত পাড়ায় যানবাহন ও জনসাধারনের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে দোয়েল চত্বর এবং ট্রাইব্যুনালের প্রবেশপথে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছে। সকাল থেকেই এ এলাকায় যারা চলাচল করছে, তাদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইছে পুলিশ। সন্দেহজনক কাউকে আদালত এলাকায় ঢুকতে দেয়া হবে না, বলেন উপকমিশনার। তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালেরে ভেতরে ও বাইরে এবং চারদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকে মূল গেটের সামনে র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার নিরাপত্তাকর্মীরা সার্বণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। পুরো এলাকায় পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট কাজ করছে। এছাড়া মূল পয়েন্টগুলোতে পর্যাপ্ত কোজসার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে।” র‌্যাবের লিগ্যাল এণ্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রায়কে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‌্যাব। নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব কাজ করবে।