ছেলেরা ত্বক বা দেহের যত্ন করার সময়ে করে উঠতেই পারেন না। আবার অনেক সময় সময় করে উঠলেও আলসেমি করে সময় পার করে ফেলেন। কিন্তু এতে ত্বক এবং দেহের ক্ষতি হয়। ত্বক অনেক সেনসিটিভ হয়ে থাকে। সামান্য অবহেলার কারণে ত্বকের নানা রকমের সমস্যা পোহাতে হয়। ছেলেদের ত্বকে বিশেষ কিছু সমস্যা হয়ে থাকে যা মেয়েদের হয় না। এই ধরণের ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু কাজ করা প্রয়োজন। আর তাতেই ছেলেরা মুক্তি পেতে পারেন তাদের যন্ত্রণাময় এইসকল ত্বকের যন্ত্রণা থেকে।
যারা নিয়মিত দাড়ি শেভ করেন তারা রেজর ব্যবহারের পর ত্বকে একধরণের জ্বলুনি অনুভব করেন। এই জ্বলুনি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ক্লিন শেভ করতে চান না। কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার ভিন্ন সমাধান রয়েছে। রেজর ব্যবহারের আগে ত্বক নরম করে নিন ভালো কোনো শেভিং অয়েল দিয়ে। অথবা কিছুটা মধু মাখিয়ে রাখতে পারেন ত্বকে। এতে ত্বক নরম হবে। অথবা ব্যবহার করুন জেল ক্রিম এবং অবশ্যই ধারালো রেজর ব্যবহার করবেন। এতে করে ত্বকের জ্বলুনি সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা মাথার ত্বকের সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন। মাথার ত্বকের বিরক্তিকর চুলকানির সমস্যার কারণে অনেক সময় ছেলেদের ইম্প্রেশনের ওপর প্রভাব পড়ে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিজের শ্যাম্পুর দিকে নজর দিন। যেন তেন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। ঘরোয়া সমাধানের জন্য ব্যবহার করবেন সাদা ভিনেগার। সাদা ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে তা দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলবেন। এতে করে মাথার ত্বকের চুলকোনি, খুশকি সহ মাথার ত্বকের আরও সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
মেয়েরা যেমন মুখে ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন তেমনই ছেলেরা বেশি ভুগে থাকেন পিঠের ত্বকে ব্রণের সমস্যায়। ছেলেরা বেশি ঘেমে যান। যার ফলে এই ধরণের সমস্যা হয়। এছাড়াও যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং জিমে যান তাদের দেহে বেশি টেস্টোস্টেরন উৎপন্ন হয় যার ফলে পিঠে ব্রণের সমস্যা বাড়ে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত গোসল করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও স্যালিসাইলিক এসিড সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করতে হবে। ব্রণের সমস্যা মারাত্মক হলে সুতি ও লিলেন ধরণের কাপড়ের পোশাক পড়বেন অন্য কিছু নয়।
ছেলেরা ধূমপান এবং অবহেলা করে ঠোঁটের ত্বক নষ্ট করে ফেলেন। এরপর থেকে ঠোঁট ফেটে যাওয়া ও ঠোঁটের ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঠোঁটে নিয়মিত কাঁচা দুধ দেয়া উচিৎ এবং সাথে সব সময় একটি ভালো লিপবাম রাখা উচিৎ।