সংসদ ভবনের অধিবেশন কক্ষে মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকার কোন প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। গতকাল সংসদে সরকারি দলের সদস্য শামীম ওসমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জনগণ এই পবিত্র সংসদে আমাদের পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নের কথা নিয়ে আলোচনার জন্য। বাইরের কোনো কিছুর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এখানে পাঠায়নি। তাই সংসদ চলা অবস্থায় মোবাইল নেটওয়ার্কের কোনো প্রয়োজন নাই। জাতীয় পার্টির বেগম সালমা ইসলামের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দেশের মোবাইল কোম্পানিগুলোর কলচার্জ এক করার কোন পরিকল্পনা আপাতত নাই। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়নের সহায়তায় একটি কস্ট মডেলিং প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন হতে মোবাইল ফোনের কলরেট সর্বনিম্ন প্রতি মিনিট ২৫ থেকে সর্বোচ্চ প্রতি মিনিট ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১০ সেকেন্ড পাল্স চালুর ফলে গ্রাহকগণ কথা বলায় অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে। মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের সব মোবাইল অপারেটরের কলরেট আপাতত সমান হচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশের মোবাইল কোম্পানিগুলোর কলরেট এক করার কোন পরিকল্পনা আপাতত নেই। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়নের সহায়তায় একটি ‘কস্ট মডেলিং’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন দেশে মোবাইল ফোনের কলরেট প্রতি মিনিট সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ দুই টাকা নির্ধারণ করেছে। মোবাইল কোম্পানিগুলো নির্ধারিত এই কলরেটের ভিত্তিতে নিজস্ব ব্যবসা পরিকল্পনা সাজিয়ে থাকে। এছাড়া ১০ সেকেন্ড পাল্স চালুর ফলে গ্রাহকরা কথা বলায় অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছেন। ২০০১ সালে প্রতি মিনিট কলে গড়ে ৯ টাকা ৬০ পয়সা খরচ পড়লেও এখন তা ৮৩ পয়সায় নামিয়ে আনা রয়েছে বলেও সংসদে তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী গত জুলাই মাসে দেশের ছয় মোবাইল অপারেটরের মোট গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৬৮ লাখ।
এর মধ্যে কেবল গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যাই ৪ কোটি ৯৪ লাখ।