ভারতের কোচবিহারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য শেষে আজ সোমবার ফেলানীর বাবাসহ প্রতিনিধিদলটি দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারের কার্যক্রম চলে।
কুড়িগ্রাম জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন মোবাইলে প্রথম আলোকে জানান, ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম। বেলা ১১টায় তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। কোচবিহারে বিএসএফের ১৮১ সেক্টর সদর দপ্তরে স্থাপিত সোনারী ছাউনিতে এ বিচারকাজ চলছে। তিনি জানান, জেরা ও জবানবন্দি নেন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সিন্ধু, তাঁকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী আনন্দ জ্যোতি মজুমদার। বিএসএফের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সরকারি কৌঁসুলি বিপিন কুমার। পাঁচ সদস্যের বিচারকমণ্ডলীর সভাপতিত্ব করেন ডিইজি সিপি ত্রিবেদী।
এ সময় ফেলানী হত্যায় অভিযুক্ত বিএসএফের সদস্য অমিয় ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সর্বনিম্ন সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এ টি এম হেমায়েতুল ইসলাম ও সরকারি কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ভারতের স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ প্রতিনিধি দল কুচবিহার রেস্ট হাউস থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়। তাঁরা বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দরে এসে পৌঁছবেন আনুমানিক রাত ১০টার দিকে। এরপর সেখান থেকে কুড়িগ্রামে আসবেন।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারায় কিশোরী ফেলানী।