হঠাৎ করেই ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে গেছে বরগুনার পায়রা নদীপাড়ে। নদীগর্ভে বিলীন হতে বসেছে তালতলী উপজেলার বগী বাজার। এলাকাবাসী বলছে, প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে শুধু বাজারই নয় পানির তোড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যাবে গ্রামের পর গ্রাম। অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে সাময়িকভাবে বালির বস্তা ফেলা ও ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত আমাবস্যা ও পূর্ণিমায় বরগুনার পায়রা নদীতে জোয়ারের চাপ বেড়েছে। জোয়ারের চাপ বারার সাথে সাথে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে নদীপাড়ে। গত দুই থেকে তিন দিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বগী গ্রামের বেশ কিছু এলাকা। ভাঙ্গতে শুরু করেছে সেখানকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধও। বাধকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এখানকার বগী বাজারও পরেছে হুমকির মুখে। ভাঙ্গনতীর থেকে দোকান ভেঙ্গে সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই।এলাকাবাসীর আশঙ্কা প্রতিরোধের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে প্লাবিত হবে গ্রামের পর গ্রাম। এদিকে, জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলার সাথে সাথে স্থায়ী ভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে বলে দাবী পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী এস,এম,শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে যে গর্তগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলোতে বালুর বস্তা ফেলে গর্ত ভর্তি করা হবে। এছাড়াও এখানে স্থায়ী কাজ হিসেবে নদীটির সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।’জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বালুর বস্তা ও স্থায়ী ভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে নেয়া প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।