সিলেটে আলোচিত শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। রোববার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে শেষ হয়েছে মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ। প্রথা অনুযায়ী এরপর দুই-একটি কার্যদিবসে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে নির্ধারিত হবে রায়ের দিন। মামলা প্রধান আসামী কামরুল ইসলামকে সৌদি আরব থেকে ফিরিয়ে আনার পর নতুন করে আলোচনায় আসে এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়টি। রোববার আদালতে তার উপস্থিতিতে ৩৫ তম সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে শেষ হয় এই স্বাক্ষ্যগ্রহণ। আদালতের পিপি মফুর আলীর বরাতে দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন জানিয়েছে, ‘এই মামলায় মোট ৩৮ জন সাক্ষী তালিকাভুক্ত থাকলেও অন্যরা আসেননি। তবে আদালত পর্যাপ্ত মনে করায় তাদের সাক্ষ্য আর নেয়া হবে না।’ তবে রাজনের বাবার নিয়োগকৃত আইনজীবী শওকত হোসেনের বরাতে সিলেটটুডে২৪ জানিয়েছে, ‘কামরুলের অনুপস্থিতিতে স্বাক্ষ্য নেয়া হয়েছে এমন যুক্তিতে আবারো স্বাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন জানিয়েছে তার আইনজীবী।’ যদিও এই আবেদন বিবেচনার এখতিয়ার আদালতের। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শিশু নির্যাতনের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দেয়া হয়েছে। রোববার শেখ রাসেলের জন্মদিনের আলোচনায় অংশ নিয়েও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘শিশু নির্যাতন মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে তুলনীয়।’ দেশে পরপর বেশ কয়েকটি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রত্যকটির বিচারের আশ্বাস দেন তিনি। রোববার সকাল ৯টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কামরুলসহ অন্য আসামিদের কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।তখন কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ আদালত প্রঙ্গণে উপস্থি ছিলেন। অনেকে তাদের ফাঁসি দাবি করে স্লোগানও দিতে থাকেন। রাজন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, কামরুল ইসলাম, তার ভাই মুহিদ আলম, আলী হায়দার, শামীম আহমদ (পলাতক), তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, দুলাল আহমদ, নগরীর জালালাবাদ থানার পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ, জাকির ওরফে পাভেল ওরফে রাজু (পলাতক) ও আয়াজ আলী। উল্লেখ্য,গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে কামরুলের নেতৃত্বে পিটিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। পরে এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিওচিত্র সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোচনায় আসে ঘটনাটি।