বর্তমানে প্রচলিত কোন আইনি নীতিমালায় সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতার কোন মানদণ্ড নেই। তবে অনেক সাংবাদিক রয়েছেন যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং পেশার প্রতি দায়বদ্ধ। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন-১৯৭৪ সংশোধনপূর্বক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তরে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ কথা বলেন। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে অনলাইন গণমাধ্যম সম্পর্কিত কোন নীতিমালা নেই। কোন নীতিমালা না থাকায় অনলাইনে প্রকাশিত কোন পত্রিকা, টিভি চ্যানেল ও রেডিও চালুকরণের ক্ষেত্রে নিবন্ধন গ্রহণের বিষয়ে কোন বাধ্যবাদকতা সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে অনলাইনে প্রকাশিত কোন পত্রিকা, টিভি চ্যানেল ও রেডিও’র সঠিক পরিসংখ্যান তথ্য মন্ত্রণালয়ে লিপিবদ্ধ নেই। তিনি জানান, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার- ২০১৪ অনুযায়ী অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যমের জন্য অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৫ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং নীতিমালা প্রণয়ন কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই আইনটি প্রণীত হলে অনলাইনভিত্তিক পত্রিকা, টিভি চ্যানেল ও রেডিও’র জন্য নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হবে। মন্ত্রী জানান, সরকারের গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে উদারনীতি গ্রহণ করার কারণেই দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। সবক্ষেত্রে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের সংখ্যা ও পরিসরও বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বহুমুখী গণমাধ্যম দেশের সাম্প্রতিক অবাধ ও স্বাধীন গণমাধ্যমের আরেক প্রতিফলন। সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত চার দশকে গণমাধ্যমের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি প্রচারসংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কঠিন সময়েও এই দেশের গণমাধ্যম জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ও আস্থাভাজন হয়ে উঠেছে মূলত গণমাধ্যমের সাহসী অবস্থান ও বস্তুনিষ্ঠতার গুণে। মন্ত্রী জানান, দেশের গণমাধ্যমগুলো কেবল সংবাদ আলোচনাতেই মুখর নয়; একই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত ও সচেতন করে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে বেগবান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর পাশাপাশি গণমাধ্যম নতুন প্রজন্মকে জাতীয় দায়িত্ব ও মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলছে। ভবিষ্যতে এ অবস্থা আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।