একটি বিশালাকৃতির শকুন ‘ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে’ – এই অভিযোগে তাকে ক’দিন আটকে রাখার পর জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের হস্তক্ষেপে তাকে ছেড়ে দিয়েছে লেবানন। সন্দেহের কারণ, শকুনটির লেজে একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র লাগানো ছিল। শকুনটির আকৃতি বিশাল। তার পাখার বিস্তার ৬ ফিট ৫ ইঞ্চি। একটি ইসরায়েলি অভয়ারণ্য থেকে শকুনটি উড়ে লেবাননের সীমান্ত পেরিয়ে একটি গ্রামে ঢুকে পড়ার পর গ্রামবাসী তাকে ধরে ফেলে। বিবিসি জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের প্রকৃতিতে এই প্রিফন জাতীয় শকুন ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় স্পেন থেকে এই শকুনটি কেনা হয়েছিল। তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয় শকুনটির অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য তার লেজে একটি ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগিয়ে দেয়। মাসখানেক আগে এটিকে ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমি এলাকার অভয়ারণ্যে উন্মুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেয়া হয়। ইসরায়েলি বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষ লেবানেন কর্মকর্তাদের সহায়তায় তাকে অভয়ারণ্যে ফিরিয়ে এনেছে। এর আগেও ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মনে করে শকুন আটকের ঘটনা ঘটেছে। ২০১১ সালের সৌদি আরবের মরু শহর হাইয়ালে আরেকটি শকুন ধরা হয়েছিল। সেসময়ও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ শকুন দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।