ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪ উইকেটে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় ৬ উইকেটে। সেই অস্ট্রেলিয়াকে এবার ৪ উইকেটে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলো ক্যারিবীয়রা। ২০১২ সালের পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সোমবার স্বাগতিকদের জয়ের নায়ক মারলন স্যামুয়েলস। তিনি ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৮৭ বলে ৯২ রান করেন। তবে তার আগে ক্যারিবীয় বোলাররা তাদের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে সংগ্রহ করে ২৬৫ রান। জবাবে ২৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জনসন চার্লস ও আন্দ্রে ফ্লেচার উদ্বোধনী জুটিতে ৭৪ রান যোগ করেন। ফ্লেচার ২৭ রানে ফেরার পর ৪৮ রানে ফেরেন চার্লস। পরে তৃতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ ৮২ রান যোগ করেন ড্যারেন ব্রাভো ও মারলন স্যামুয়েলস। ব্রাভো করেন ৬৩ বলে ৩৯ রান। আর দলের জয় থেকে ২৬ রান দূরে থেকে নার্ভাস নাইনটিতে রানআউট হয়ে ফেরেন স্যামুয়েলস। তবে সেঞ্চুরি মিস করে তিনি অখুশি নন। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেই তিনি খুশি বলে জানালেন। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা খুবই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করতে না পারলেও রান দিতে ছিলেন খুবই কৃপণ। জেসন হোল্ডার, কার্লোস ব্রেথউইট ও কাইরন পোল্যার্ড তিনটি করে উইকেট নেন। আর অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটুর জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন উসমান খাজা। উদ্বোধনী এ ব্যাটসম্যান ১২৩ বলে রানআউটের শিকার হন ৯৮ রানে। এতে দুই দলের দুই ব্যাটসম্যান ৯০-এর ঘরে গিয়ে রানআউট হয়ে ফেরেন। দলীয় ১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত কোনো রান যোগ না করেই ফেরন অ্যারোন ফিঞ্চ। এরপর খাজা ও স্টিভেন স্মিথ দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩.৩ ওভারে যোগ করেন ১৭০ রান। কিন্তু তাদের এই বড় জুটিতেও অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহ দাঁড় করতে ব্যর্থ হয়। স্মিথ ৯৫ বলে ৭৪ বলে ফেরার পর জর্জ বেইলি করেন ৫৬ বলে ৫৫ রান। ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ২, তিন ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২ এবং তিন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ১টি।