মামুনুর রশীদ রাজ,সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা ইসলাম ধর্মের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ধর্মের নামে এসব হামলার কারণে জান্নাত দূরের কথা জাহান্নামে যাবে জঙ্গরা।
বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ‘ধর্মের নাম ব্যবহার করে জঙ্গিকাণ্ড হচ্ছে’ মন্তব্য করে বলেন, “তারা এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে ইসলাম ধর্মের মতো শান্তির ধর্মকে বিশ্বের দরবারে অবমাননা করছে। হেয় করছে। এর চেয়ে দুঃখের বিষয় কিছু হতে পারে না।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানুষ যে সময় এশার নামাজ পড়তে যায়, তারাবির নামাজ পড়তে যায়, ঈদের নামাজ পড়তে যায়, সে সময় তারা নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালায়। মানুষ হত্যা করে। তারা কখনো ইসলাম ধর্মের অনুসারী হতে পারে না।”
এ সময় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সন্ত্রাসবিরোধী কমিটিকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল, তখন এই ধরনের হামলা করা হয়েছে। এমন কাজ যারা করেছে তারা ঘৃণা ছাড়া কিছুই পাবে না। যারা ধর্মের নামে এসব করছে তাদের কোনো ধর্ম নেই। তারা জান্নাত তো দূরের কথা জাহান্নামে জায়গা পাবে ।”
আর্টিজান-কাণ্ডে হামলাকারীরা জিম্মিদের ছেড়ে দেয়ার সময় বলেছিল, “তোমরা পালাও। আমরা হাসিমুখে বেশেতে যাচ্ছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “হামলাকারীরা দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছে। এরা উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে এসেছে। কেন এমনটি ঘটছে তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। এ দেশে আমরা জঙ্গিবাদের স্থান হতে দেব না। আমরা চাই বাংলাদেশ হবে শান্তিপূর্ণ দেশ।”
সবাই মিলে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অভিভাবকদের বলব, নিজেদের সন্তানদের খোঁজ নেবেন- কীভাবে চলে, কোথায় যায়, কাদের সঙ্গে মেলামেশা করে। জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটির সঙ্গে মিলে খোঁজ নেবেন সব দিকে। এলাকায় নতুন কেউ এলে কোথা থেকে এসেছে তা জানতে হবে। অবাঞ্ছিত কাউকে দেখলে তার পরিচয় বের করবেন।”
ইমাম-মুয়াজ্জিন-ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব-অভিভাবক-প্রশাসনিক কর্মকর্তা-জনপ্রতিনিধি-সমাজসেবক-ব্যবসায়ী-সাংবাদিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে জঙ্গি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।