হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ১৬ দিন পার হলেও গুলশান এলাকার পরিবেশ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। হামলার পর থেকে বাড়ানো হয়েছে চেকপোস্ট, টহল এবং পুলিশি নিরাপত্তা। এতে, ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা ও ব্যবসায়িক লেনদেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, হামলার পরবর্তী সময়ে বিক্রি কমে গেছে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। তবে, নিরাপত্তা বাড়ানোয় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হামলা হলেও, এর রেশ রয়ে গেছে এখনো। মানুষের মধ্যে কাজ করছে চাপা আতঙ্ক। এখনো স্বাভাবিক হয়নি চলাফেরা ও কর্মপরিবেশ।
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে গণপরিবহণ। এলাকাজুড়ে আগের চেয়ে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এতে, সীমিত হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের চলাফেরা।
সাময়িক অসুবিধা সত্ত্বেও নিরাপত্তা বাড়ানোয় সন্তুষ্ট সাধারণ মানুষ। তবে তাদের দাবি, তা যেন দীর্ঘমেয়াদে জনগণের ভোগান্তির কারণ না হয়।
আতঙ্ক ভর করেছে বিদেশী নাগরিকদের মধ্যেও। নিরাপত্তা বাড়ানোয় সন্তুষ্ট তারা। তবে, ভবিষ্যতে হামলা রোধে নিরাপত্তার পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ তাদের।
বাড়তি নিরাপত্তায় ক্রেতা সাধারণ চলাফেরা করতে না পারায় ব্যবসায়িক লেনদেনে প্রভাব পড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ক্রেতাদের চলা-ফেরা সহজ করতে গণপরিবহণ চলাচলে সহজ করার দাবি তাদের।
এসব হামলা রোধে সার্বিক নিরাপত্তাসহ জনগণের আত্ম-বিশ্বাস বাড়াতে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন- সংশ্লিষ্টরা।